বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : দেশের শিক্ষা নগরী হিসেবে খ্যাত উত্তরবঙ্গ তথা রাজশাহীতে প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।
২০১২ সালের ১৪ই- মার্চ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদন লাভ করে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং একই বছরে ২৪ সেপ্টেম্বর তারিখ থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে।
আজ গুটি গুটি পায়ে ১০ বছর অতিক্রম করে ফেললো বিশ্ববিদ্যালয়’টি। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর তীক্ষ্ণ চিন্তা চেতনার মাধ্যমে গড়ে উঠা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সময়ের সাথে সাথে ছড়িয়ে পড়ছে সবার মাঝে, উত্তরবঙ্গে উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করতে যারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার এক মহৎ স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং এটি প্রতিষ্ঠার পেছনে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছিলেন।
তাঁরা হলেন- বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টের মাননীয় চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা প্রফেসর এম. সাইদুর রহমান খান, বোর্ড অব ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল এ কে এম কামরুজ্জামান খান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাইফুজ্জামান শিখর, লিয়াকত শিকদার, প্রফেসর কামরুজ্জামান।
এছাড়া প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সহযোগিতায় ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. ওসমান গনি তালুকদার, সিরাজুর রহমান লিটন এবং শামীম আহসান পারভেজ।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৩টি ফ্যাকাল্টির অধীনে ১০ টি বিভাগে প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নিয়ে বের হয়ে গেছেন প্রায় ছয় হাজার শিক্ষার্থী। তাদের অনেকেই এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিজের মেধা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
রাজশাহীর খড়খড়ি বাইপাস এলাকায় নিজস্বভাবে জমি ক্রয় করে প্রায় ৪০ বিঘা জমির উপর স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজ চলমান।
২০১৭ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের তিন স্তরের প্রথম স্তরের নির্মাণ কাজ খুব দ্রুতই শেষ হবে বলে জানা যাই এবং এই বছরেই রাজশাহীর খড়খড়িতে অবস্থিত বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রাকে সন্দেহাতীত ভাবে আরও ত্বরান্বিত করবে বলে আশাকরা যায়।
যে সকল যোগ্য ব্যক্তিদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালিত হচ্ছে তাতে বলাই যাই, উত্তরবঙ্গ ছাড়াও অচিরেই এটি দেশে ও বিদেশে একটি আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে এবং উত্তরবঙ্গের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়টি গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।