বাংলাদেশের ১৫৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বশেমুরবিপ্রবি প্রথম!

অঞ্চলভিত্তিক কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির বিবৃতি

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি


শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বৃহত্তর ফরিদপরের জন্য ২০ শতাংশ আঞ্চলভিত্তিক কোটার প্রস্তাব প্রত্যাহার নিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি।

আজ বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ কামরুজ্জামান এবং সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ আবু সালেহ স্বাক্ষরিত বিবৃতিটি প্রেরণ করেন শিক্ষক সমিতির প্রচার সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ১৫/০২/২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিল এর ২১ তম সভায় বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার জন্য ২০% ভর্তি কোটা সংরক্ষিত রাখার প্রস্তাবটি শিক্ষক সমিতির নজরে আসে, যা সমিতিকে হতবাক করে। আমরা মনে করি, এই ধরনের মনগড়া ও অন্যায্য প্রস্তাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার পরিপন্থী, যা উচ্চ শিক্ষাকে বাধাগ্রস্ত করবে। একইসাথে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমতার সুযােগ বিনষ্ট করার পাশাপাশি শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশকেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে শিক্ষক সমিতি ১৭/০২/২০২১ তারিখ দুপুরে উপাচার্য মহােদয়ের সাথে জরুরী বৈঠক করে এবং প্রস্তাবিত ২০% কোটা বাতিলের জোর দাবি জানায়।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়,উপাচার্য মহাদয়েয় বিষয়টি সম্পর্কে শিক্ষক সমিতির কাছে বিস্তারিত জানতে চান। আমরা ন্যায্যতার পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সার্বিক উন্নয়ন, ও শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করণে কোটা না রাখার জন্য আমাদের যৌক্তিক ব্যাখ্যা তুলে ধরি। উপাচার্য মহােদয় ২০% কোটা বাতিলের যােক্তিক আপত্তির সাথে একমত পােষণ করেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় উপাচার্য মহােদয় কোটা সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।আমরা বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি সর্বদা ন্যায্যতার পক্ষে কাজ করব।

প্রসঙ্গত,গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের জন্য ২০ শতাংশ কোটা প্রস্তাব করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *