সানজিদা আরা সরকার বিথী, ঢাবি প্রতিনিধি
চারদিকে রংয়ের ছড়াছড়ি। আহা রুপের কন্যা চারুকলা যেন ঝিলিক দিচ্ছে।মানুষের কোলাহলে বর্নাড্য র্যালি যেন দিনটিকে নতুন মাত্রায় নিয়েছে।এফবিএসের কনসার্টের গানের সুর চারদিকের ঝলমলে আলোর সাথে মিশে মিটিমিটি করছে।কই এইবার তো কোনো রং নেই চারদিকে।এটা সেই গত বছরের ঘটনা।দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যা পৃথিবী নামক গ্রহ থেকে বাংলাদেশ নামক লাল সবুজের এক টুকরা ভালোবাসাকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে অনস্বীকার্য ভূমিকা রেখেছে।করোনা ভাইরাসের থাবায় অনাড়ম্বড়েই পালিত হবে চিরযৌবনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ৯৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
সকাল ১০ টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন প্রাঙনে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়ানোর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুরু হয়।
সকাল ১১ টায় উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের অনলাইন ভার্চুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে।এ ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সংযুক্ত হবে উপ উপাচার্য, প্রাক্তন উপাচার্য, দুজন ডিন,প্রভোস্ট, ঢাবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি সহ ঢাবির বিভিন্ন সমিতির পক্ষ থেকে বিশিষ্টজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান শুভেচ্ছাবানী প্রদান করেছেন।তিনি তার বানীতে বলেন -“করোনার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে লোকসমাবেশ এড়িয়ে প্রাণপ্রিয় ছাত্র-ছাত্রীবিহীন স্বল্পপরিসরে প্রতিষ্ঠা বার্ষিক আয়োজনে, নি:সন্দেহে, আনন্দ, প্রশান্তি ও স্বস্তির ঘাটতি অনস্বীকার্য। তবে মুজিববর্ষের এই অলোকসামান্য কালপর্বে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের তাৎপর্য অত্যন্ত গভীর ও ব্যাপক। প্রকৃতপক্ষে, বঙ্গবন্ধু এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ নামক আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমির দুই অন্তহীন প্রেরণা-উৎস।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে পালিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২০ লাভ করেছে এক অনন্য মাত্রা। প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উদযাপনের বিরল সৌভাগ্য-প্রাপ্তির পূর্বক্ষণে মুজিববর্ষ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য চিরঅম্লান আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। তাই বিশ্ববিধ্বংসী কোভিড-১৯ ভাইরাসের তীব্রতর সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধের এই কালে আমরা মহান সৃষ্টিকর্তার করুণার পর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন থেকেই সাহস অর্জন করি; অসাম্প্রদায়িক, মানবিক সেবায় এগিয়ে আসি।”