অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা পাবে এক লাখ টাকার বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবিমা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

 

অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তাদের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবিমা’ নামে বিমা পলিসি চালুর কাজ শুরু হয়েছে। এর প্রিমিয়াম হবে মাসে ২৫ টাকা আর বছরে ৩০০ টাকা। বিমার অঙ্ক হবে এক লাখ টাকা। টাকার অভাবে কারোর শিক্ষাজীবন যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য এই পদক্ষেপ।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)-সহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সম্প্রতি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বৈঠক করেছে।

এ সংক্রান্ত খসড়ায় কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। বিমার সঙ্গে স্কুল ব্যাংকিংও যুক্ত করতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। গত জুন পর্যন্ত দেশে ২৪ লাখ ৩১ হাজার ৬০২টি স্কুল ব্যাংকিং হিসাব ছিল। তাতে টাকা আছে এক হাজার ৭৬৩ কোটি।

মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, ‘মুজিব বর্ষে বিমা খাতের উপহার হিসেবে পলিসিটি চালু হবে। এতে অন্তত গরিবের সন্তানদের শিক্ষাজীবন নষ্ট হবে না।’

জানা গেছে, তিন বছর আগে বিমার খসড়া নীতিমালা তৈরি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে জমা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তারা এ নিয়ে কাজ করতে দেয় আইডিআরএকে। তার আলোকে এটি মুজিব বর্ষ থাকতেই চালু করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে আইডিআরএ। আগামী বছরের ১৭ মার্চ মুজিব বর্ষ শেষ হবে।

এ বিষয়ে আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান এ কে এম মোশারফ হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চালু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবিমা। মুজিব বর্ষেই বিমাটি চালু করা যাবে বলে আশা করছি।’

আইডিআরএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা বিমার আওতায় আসবে। তাদের পক্ষে পলিসি করবেন বাবা-মা অথবা অভিভাবক এবং তাঁদের বয়স হবে ২৫ থেকে ৬৫ বছর। প্রিমিয়ামের টাকা জমা দিতে হবে ব্যাংকে। পলিসির মেয়াদ থাকবে এক থেকে ১২ বছর। আর শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ ও বিমাগ্রহীতার বয়স ৬৫ বছর হলেই পলিসি মেয়াদোত্তীর্ণ হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, মা-বাবা অথবা অভিভাবক মারা গেলে পলিসি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত মাসে এক হাজার টাকা করে পাবেন শিক্ষার্থীরা। বাবা অথবা মা জীবিত থাকলে তাঁদের অনুমােদনে অন্য কেউও অভিভাবক হতে পারবেন। মা-বাবার অবর্তমানে তার ভরণপোষণকারীও হতে পারবেন। আর বিমাগ্রহীতা স্থায়ী সম্পূর্ণ কিংবা আংশিক অক্ষম হলে তাকে এককালীন এক লাখ টাকা দেওয়া হবে।

খসড়ায় বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীর ও বিমাগ্রহীতার বয়স, শ্রেণি ও অন্য তথ্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সংরক্ষণ করবে। মেয়াদ পূর্ণ হলে বিমা দাবি পরিশােধে কোম্পানিকে তথ্য পাঠাবে ব্যাংক। প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার ১৫ দিনে দাবি পরিশােধ করতে হবে। ১০টি বিমা কোম্পানির মাধ্যমে বিমাটি চালুর পরিকল্পনা করছে আইডিআরএ। তবে পরে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *