গাজীপুরের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) শিক্ষার্থী সাফায়েত হোসেন মাসুম বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন স্টোর, ক্লাউড স্টোর এবং প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যামাজনে চাকরি পেয়েছেন। ২৪ অক্টোবর, তিনি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে অ্যামাজন এর মাদ্রিদ অফিসে যোগ দেন।
মাসুম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি গাজীপুরে। তিনি আইইউটি থেকে ২০২২ সালের মে’তে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। গ্র্যাজুয়েশন শেষ হওয়ার আগে তিনি গত ৭ এপ্রিল অ্যামাজন কোম্পানি থেকে ডাক পান।
রিজভি জানান, গত ৭ মার্চ আমাজন জবসের থেকে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট পদে আবেদন করি। তারপর অটোমেটেড দুইটা অনলাইন অ্যাসেসমেন্ট নেওয়া হয়। একটা প্রবলেম সলভিং-এর, আরেকটা কাজের ধরন অ্যাসেসমেন্ট করা।
তিনি জানান, প্রবলেম সলভিং-এ দুইটা কোডিং প্রবলেম সলভ করতে হয়েছে। তারপর ওয়ার্ক স্টাইল অ্যাসেসমেন্টে বিভিন্ন সলিউশন সিমুলেট করে আমার রেসপন্সকে এসেস করা হয়েছে। তারপর এ রাউন্ড ৭ এপ্রিলে ভার্চুয়াল অনসাইট ইন্টারভিউয়ের ইনভাইটেশন পাই।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে বৃত্তির সুযোগ নিয়ে সুইজারল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুন
অ্যামাজন একটি আমেরিকান ই-কমার্স কোম্পানি যার সদর দপ্তর সিয়াটল, ওয়াশিংটন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ইন্টারনেট খুচরা বিক্রেতা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, কানাডা, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, জাপান, চীন, ভারত ও মেক্সিকোতে আমাজন পৃথক খুচরা ওয়েবসাইট রয়েছে। ২০১৬ সালে, জার্মান আমাজান ওয়েবসাইটের ওলন্দাজ, পোলিশ এবং তুর্কি ভাষা সংস্করণগুলিও চালু করা হয়েছিল। আমাজন এছাড়াও কিছু অন্যান্য দেশে তার পণ্যের আন্তর্জাতিক শিপিং অফার করে।
অ্যামাজন এরইন্টারভিউয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে রিজভি বলেন, গত ১২ এপ্রিল অ্যামাজন এর আমার সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। ইন্টারভিউ ছিল টানা তিন ঘণ্টার। এক ঘণ্টা পরে পরে তিনটা সেশন ছিল। এসব সেশনের প্রথম অর্ধেকে আচরণগত কোশ্চেন জিজ্ঞাসা করা হয়। তার পরবর্তী অর্ধেক সময়ে টেকনিক্যাল কোশ্চেন জিজ্ঞাসা করে কোড করতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইন্টারভিউ শেষ হওয়ার পর এবছরের এপ্রিল মাসে জানানো হয় যে আমি উত্তীর্ণ হয়েছি। চাকরিতে যুক্ত হয়েছি গত ২৪ অক্টোবর।
এর আগে, গত ১৭ অক্টোবরে অ্যামাজন এর যুক্ত হন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির আরও এক শিক্ষার্থী। তারা নাম রিজভি হাসান। তিনি প্রতিষ্ঠানটির মাদ্রিদ অফিসে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যুক্ত হয়েছেন। রিজভিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।