আত্মহত্যার পূর্বে সুইসাইড নোটে যা লিখেছেন পৃথিবী বিখ্যাত মানুষেরা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ আত্নহত্যা অর্থাৎ মৃত্যু নিশ্চিত! পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত মানুষের জীবনের শেষ হয়েছে আত্মহত্যার মাধ্যমে। আত্মহত্যায় মৃত্যুর আগে তারা লিখে গিয়েছিলেন জীবনের শেষ কথা সবাইকে উদ্দেশ্য করে। জানতে চান কী লিখেছিলেন তারা? কি ছিল তাদের সুইসাইড নোটে? আসুন জেনে নিই অ্যাডলফ হিটলার সহ বেশ কিছু জগত বিখ্যাত মানুষের বিখ্যাত সুইসাইড নোটের কথা।



অ্যাডলফ হিটলার



শত্রুদের কাছে ধরা পড়ে যাওয়ার আগেই নিজের স্ত্রী ইভাকে নিয়ে আত্মহত্যা করেন হিটলার। সেখানেই নিজের সুইসাইড নোট লেখেন তিনি।

“আমি নিজে এবং আমার স্ত্রী পদচ্যুত ও আত্মসমর্পণের হীনতা থেকে মুক্তি পেতে মৃত্যুকে বাছাই করলাম। নিজের কাজের জায়গা যেখানটায় ১২ বছর ধরে প্রতিদিন আমার মানুষদের জন্য কাজ করেছি আমি সেখানটায় তাত্ক্ষণিক পুড়ে মরতে চাওয়া পুরোপুরি আমাদের ইচ্ছে।”



জর্জ ইস্টম্যান



কে না ছবি তুলতে ভালোবাসে? ছবির কথা চলে এলেই মনে পড়ে যায় কোডাক প্রতিষ্ঠানের কথা। আর এই কোডাকের প্রতিষ্ঠাতা জর্জ ইস্টম্যান জীবনের একটা সময় নানারকম অসুখে ভুগতে শুরু করেন। হৃদপিন্ডের সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ আরো বেশকিছু ঝামেলায় পড়ার পর তার মনে মায়ের বিকলাঙ্গতার কথা ভেসে ওঠে। জর্জের মা নিজের শেষ কিছু বছর হুইলচেয়ারে অসম্ভব কষ্টের ভেতর দিয়ে জীবন যাপন করেন। নিজেকে সেখানটায় দেখতে চাননি জর্জ। আর তাই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।

“আমার বন্ধুদের প্রতি, আমার কাজ শেষ। তাহলে অপেক্ষা কেন?”



ভার্জিনিয়া উলফ



লন্ডনের বেশ বড়সড় একটা জায়গা অধিকার করে রেখেছিলেন উলফ। নিজের অন্যতম সেরা লেখা মিসেস ডেলোয়ে, টু দ্য লাইট হাউজ ও অরলান্দোর মাধ্যমে পুরোবিশ্বের কাছে পরিচিত হয়ে আছেন তিনি। দুনিয়াজোড়া পরিচিতি পেলেও সবটা সময় মানসিক সমস্যার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে এই লেখককে। মনরোগে আক্রান্ত হতে হতে বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন তিনি। আর সেই বিরক্তি, ভয় আর হতাশা থেকেই আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি আর সেটার আগে লিখে যান চারটি লাইন।

“আমি নিশ্চিতভাবে অনুভব করছি যে, আমি আবার পাগল হয়ে যাচ্ছি। আমি অনুভব করছি যে, ওরকম আরেকটি ভয়াবহ সময়ের ভেতর দিয়ে যেতে পারবো না আমরা এবং আমি এবার সেরে উঠবো না। আমি কণ্ঠ শুনতে আরম্ভ করেছি।”


হান্টার এস. থম্পসন



আমেরিকান বংশোদ্ভূত সর্বকালের সেরা এই ঔপন্যাসিক নিজের শেষ লেখাটির নাম দিয়েছিলেন- ফুটবল খেলার মৌসুম শেষ। নোটটি তিনি লিখেছিলেন স্ত্রী অনিতাকে উদ্দেশ্য করে। থম্পসন এতে লিখে যান-

“আর কোন খেলা নেই। আর কোন বোমা নেই। চলতে থাকা নেই। কোন মজা নেই। সাঁতার কাটা নেই। ৬৭, ৫০ এর পরেও ১৭ টি বছর। আমার চাওয়ার অথবা দরকারের চাইতেও ১৭টি বাড়তি বছর। বিরক্তিকর। আমি সবসময়েই উদ্দাম। কারো জন্যে কোন আনন্দ নেই। ৬৭, তুমি লোভী হয়ে যাচ্ছ। বুড়োমি দেখাও। শান্ত হও- এটা ব্যথা দেবে না।”



ভিনসেন্ট ভ্যান গখ



জীবনের বেশিরভাগ সময় রঙের আঁচড়ে কাগজের পাতা অবিরত রাঙিয়ে তুললেও মৃত্যুর সময় কেবল একটি কথাই লিখেছিলেন বিখ্যাত এই চিত্রকর।

“দুঃখ সবসময়ই টিকে থাকবে!”


সংবাদটি শেয়ার করুন
fb-share-icon
Tweet

এই বিভাগের আরও সংবাদ

Leave a Comment