সম্প্রতি বিএনপির এক কর্মসূচি থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে শুক্রবার আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সম্মেলনে বক্তব্যে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
কাদের বলেন, “আজকে খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা তারা বলছে। আমরা বারবার বলেছি, উনি আদালতের রায়ে দণ্ডিত, সে কারণে জেলে। আপনারা আইনি লড়াই করে তাকে মুক্ত করুন।
“কিন্তু বিএনপি আদালত মানে না, আইনের শাসন মানে না, বিচার মানে না। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আদালতের উপর চাপ দিতে সেখানে ভাংচুর করেছে। তারা পুলিশের উপর হামলা করেছে। আদালত প্রাঙ্গণকে রণাঙ্গনে পরিণত করেছে।”
বিএনপিকে সতর্ক করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “শান্তিপূর্ণ আন্দোলন গণতান্ত্রিক পথে, রাজনৈতিকভাবে আমরা মোকাবেলা করব।
“কিন্তু আপনারা যদি মনে করে সহিংসতা সৃষ্টি করে, দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করবেন, তাহলে আপনারা বোকার স্বর্গে আছেন। আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য হলে সমুচিৎ জবাব দেওয়া হবে।”
দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, “সবাই প্রস্তুত হয়ে যান, এখনও ষড়যন্ত্র চলছে, এখনও চক্রান্ত চলছে। শেখ হাসিনার জনপ্রিয় সরকারকে হটানোর চক্রান্ত চলছে। এই চক্রান্ত রুখতে হবে।”
তিনি বলেন, “দেশে এত উন্নয়ন, এত অর্জন, বিএনপি এবং তার দোসররা উন্নয়ন দেখে না। তারা চোখে কালো চশমা পরেছে। কালো চশমা দিয়ে তারা উন্নয়ন দেখতে পায় না।
“জনগণ তাদের (বিএনপি) চায় না, আন্দোলন করতে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ। এখন তাদের অবলম্বন হচ্ছে প্রেস ব্রিফিং, তাদের অবলম্বন নালিশ। এখন দেশে ঠাঁই না পেয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ আর দ্বারে দ্বারে ধরনা দিচ্ছে।”
“আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি মৎস্যজীবী লীগকে আগামী দিনে আরও শক্তিশালী করবে, আরও গতিশীল করবে, আরও প্রাণবন্ত করবে।”
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক নারায়ণ চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।
দ্য ক্যাম্পাস টুডে