ইবিতে বই ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনী মেলা: স্কুল শিক্ষার্থীদের চমকপ্রদ চার উদ্ভাবন (ভিডিও)

ইবিতে বই ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনী মেলা: স্কুল শিক্ষার্থীদের চমকপ্রদ চার উদ্ভাবন (ভিডিও)

আজাহার ইসলাম, ইবি


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বই ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনী মেলার শেষ দিন আজ। মেলায় শোভা পেয়েছে ৪৭ টি স্টল। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন বিভাগ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলোর স্টল। মেলায় ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ চোখে পড়লো বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের স্টল এতে তাদের উদ্ভাবনী নিয়ে অংশ নিয়েছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। শোভা পেয়েছে তাদের চারটি উদ্ভাবনী। যা রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে দর্শনার্থীদের।

তাদের উদ্ভাবনীগুলো হলো- রেইন ডিটেক্টর, হাইড্রলিক রোবোটিক হ্যান্ড, স্মোক অ্যাবসর্বার এবং এনার্জি ফ্রম ওয়াস্ট ওয়াটার।

রেইন ডিটেক্টর: রেইন ডিটেক্টর একটি সার্কিটের মাধ্যমে তৈরি। বাড়ির ছাদে লাগানো হবে সার্কিটটি। কক্ষে স্থাপন করা থাকবে এলার্ম। বাড়ির চালায় সার্কিটে ২-১ ফোঁটা বৃষ্টি পড়লেই তাৎক্ষণিক এলার্ম বেজে উঠবে। হয়তো ভাবতে পারেন বৃষ্টি পড়লে তো দেখাই যায় যে বৃষ্টি হচ্ছে। তাহলে এই ডিভাইসটির প্রয়োজনীয়তা কী? ধরুন আপনি ঘুমাচ্ছেন। বাড়ির ছাদে কাপড় শুকোতে দিয়েছেন। হঠাৎ বৃষ্টি আসলে কাপড় ভিজে যেতে পারে। এই ডিভাইসটি ব্যবহার করলে তাৎক্ষণিক সতর্ক হয়ে গেলে আপনার কাপড় ভিজবেনা।

হাইড্রলিক রোবোটিক হ্যান্ড: আমাদের দেশে যেসব বুলডোজার রয়েছে সেখানে হাইড্রলিকের পাওয়ারের জন্য শক্তিশালী ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ইঞ্জিনে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে এটি সচল হয়। এতে ব্যবহৃত হয় অধিক মূল্যমানে হাইড্রলিক ওয়েল। যা ব্যয়বহুল। কিন্তু তাদের উদ্ভাবনী এই ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি। যার মাধ্যমে একইভাবে কাজ করা সম্ভব হবে। যা খরচ ও ভোগান্তি উভয়ই কমাবে।

স্মোক অ্যাবসর্বার: শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনীর মধ্যে আরেকটি উল্লেখযোগ্য ডিভাইস এটি। যার মাধ্যমে ধোঁয়া বাইরে নিঃসরণ করা সম্ভব। বদ্ধঘরে বা বাসের মধ্যে এ ডিভাইসটি ব্যবহার করা যাবে। বাসে কেউ ধুমপান করলে ডিভাইসটি ধোঁয়া নিঃসরণ করবে। এতে যাত্রীদের কোনপ্রকার ক্ষতি হবেনা। এছাড়াও রান্নাঘরের ধোঁয়াও নিঃসরণ সম্ভব ডিভাইসটি দ্বারা। এই ডিভাইসটি বড় বড় কলকারখানায় স্থাপন করলে কারখানার ভিতরের ধোঁয়া বাইরে চলে যাবে। এতে কর্মীরা ক্ষতির হাত থেকে বাঁচবে।

এনার্জি ফ্রম ওয়াস্ট ওয়াটার: ‘যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলে পাইতে পার অমূল্য রতন।’ তবে ছাই নয়। ম্যালহোলের বর্জ্য পানি কাজে লাগানোর কথা ভাবছেন স্কুল শিক্ষার্থীরা। বিদ্যুতের খরচ বাঁচাতেই এমন ডিভাইসের উদ্ভাবন বলে জানিয়েছেন তারা। ম্যানহোলের বর্জ্য পানি দ্বারা এ ডিভাইসটি চলবে। ম্যানহোলের বর্জ্য পানি পড়বে নির্দিষ্ট একটি জায়গায়। সেখান থেকে পানি পড়বে একটি ফ্যানে। ফ্যান ঘোরার মাধ্যমে তৈরি হবে বিদ্যুত। যা সঞ্চিত হবে নির্দিষ্ট এক জায়গায়। সেই বিদ্যুতের মাধ্যমে চলবে ট্রাফিক লাইট।

এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোলাম মামুন বলেন, ‘এসব উদ্ভাবনী শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগেই করেছে। আমার ছাত্রদের এমন উদ্ভাবনী সত্যি অনেক গৌরবের ব্যাপার। আশা করি আমার শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে নতুন নতুন উদ্ভাবনী নিয়ে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

ভিডিও দেখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

Leave a Comment