ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ফর ওমেন ক্যাপের নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ১৪০ নং কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ক্যাপ কুষ্টিয়া জোনের উপদেষ্টা শাম্মী আক্তার। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ক্যাপ কুষ্টিয়া জোনের সভাপতি মহব্বত ফয়সাল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক নাজনীন সুলতানা মেঘ, ঐক্যমঞ্চের সদস্য সচিব নুরুল্লাহ মেহেদী, ক্যাপের যুব উপদেষ্টা আবদুল্লাহ আল মাহদী প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি যৌথ ভাবে সঞ্চালনা করেন সাদিয়া মোবাশ্বিরা ও তুহিন বাবু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সহকারী অধ্যাপক শাম্মী আক্তার বলেন, সামাজিক সংগঠনে মূলত ভলেন্টিয়ার এক্টিভিটি তৈরি হয়। মানুষের জন্য কাজ করার মানসিকতা তৈরি হয়। কিন্তু বর্তমান স্মার্ট ছেলেমেয়েদের মাঝে মানুষের সেবা করার মনমানসিকতা লক্ষ্য করা যায় না। বর্তমান স্মার্টনেসের মধ্যে সবটুকু গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করি না। একটু রয়ে সয়ে স্মার্টনেস গ্রহণ করতে হবে।
অনেকে স্বেচ্ছাসেবী কাজের বেনিফিট খোঁজে! তাদের জন্য বলবো এখানে প্রচুর সুযোগ রয়েছে নিজেকে জানার, নিজেকে পরিচিত করার, নিজেকে আরও দক্ষ করে তোলার।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ফয়সাল মহব্বত বলেন, যখন আমরা গ্রামের কোনো প্রোগ্রামে যায়, তখন গ্রামের মায়েরা আমাদের মেয়ে ভলেন্টিয়ারদের এসে কান্না করে, কারণ তারা তাদের গোপন সমস্যা টা কাউকে বলতে পারে না। শুধুমাত্র লজ্জার কারণে প্রতিবছর কত মা বোনেরা স্তন ক্যান্সার ও জরায়ু ক্যন্সারে আক্রান্ত হয়। আমাদের একটি উদ্দেশ্য আমরা প্রতিটি মা-বোনের কাছে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে চাই। এসময় তিনি আগামী তিন মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের হলে ভেন্ডিং মেশিন বসানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় এবং শেষে বিদায়ীদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
‘যদি ক্ষতির কারণ লজ্জা হয়, তাহলে আর লজ্জা নয়’ এই প্রতিপাদ্যে ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ফর উইমেন (ক্যাপ) মেয়েদের ক্যানসার নিয়ে কাজ করে থাকে। বাংলাদেশের ৫টি অঞ্চলে স্তন ক্যানসার এবং জরায়ুমুখের ক্যানসার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।