ইবি প্রতিনিধি: সহায়ক কর্মচারী সমিতিতে সদস্য অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মচারীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমচত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এতে কর্মচারীদের দুই সংগঠন সহায়ক কর্মচারী সমিতি ও সহায়ক টেকনিক্যাল কর্মচারী সমিতির সদস্যদের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে সহায়ক কর্মচারীদের একটি অংশ নিয়ে সহায়ক টেকনিক্যাল কর্মচারী সমিতি গঠিত হয়। এই সংগঠনের ১০ জন্য সদস্য ফের সহায়ক কর্মচারী সমিতিতে যোগদান করতে চায়। এ বিষয়ে তারা রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে অনুমতি নেয়। এদিকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
বিষয়টি জানার পর সাধারণ সম্পাদক জনি রেজিস্ট্রারের অফিস থেকে বিষয়টি জানতে চায়। এ বিষয়টি জানতে পেরে কর্মচারী ইলিয়াস জোদ্দার আমচত্বরে সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতির সামনে সাধারণ সম্পাদকে গালিগালাক করতে থাকে। এসময় ঘটনাস্থলে সাধারণ সম্পাদক জনি উপস্থিত হয়। তখন সহায়ক টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যদের সাথে সহায়ক কর্মচারী সমিতির কর্মচারীদের মধ্যে বাগবিতন্ডা শুরু হয়।
পরে ঘটনাস্থলে বকুল জোয়াদ্দারসহ টেকনিক্যাল কমিটির কয়েকজন উপস্থিত হয়। এতে উভয় সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। প্রায় ১০ মিনিট তাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে উপস্থিত কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ বিষয়ে সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্রাহাম লিংকন বলেন, ‘আমার সামনে এসে আমার সাধারণ সম্পাদকের পা ভেঙ্গে দেওয়ার কথা বলে ইলিয়াস জোদ্দার। এর প্রতিবাদ করি আমরা। এছাড়াও টেকনিক্যাল সমিতির ১০ জন সদস্য গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করেছে। সমিতিতে আসতে হলে গঠনতন্ত্র মেনে আসতে হবে।’
এ বিষয়ে ইলিয়াস জোদ্দার বলেন, ‘আমি পা ভেঙ্গে দিতে চাইনি। এমনি বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটেছে। রেজিস্ট্রার অনুমতি দিয়েছে ১০ জন কর্মচারীকে।’
এ বিষয়ে সহায়ক কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আগামীকাল আমাদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দিবো।’
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মু. আতাউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি জরুরি অনুষ্ঠানে আছি। এখন কথা বলতে পারবো না।’