বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) দাবা ক্লাবের উন্নয়ন ও ভবিষ্যতে ক্লাবের কার্যক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম মাহবুব এর সাথে দাবা ক্লাবের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর ২০২১) সকাল ১১টায় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বশেমুরবিপ্রবি দাবা ক্লাবের ২০২১-২০২২ সেশনের নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মোজাহিদ উল হক, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আকিব আদনান শাফিন, ক্লাবের শিক্ষক উপদেষ্টা জনাব অভিজিৎ বিশ্বাস ও শরীরচর্চা বিভাগের আহবায়ক জনাব বাবুল মন্ডল।
এ সময় ক্লাবের সভাপতি মোজাহিদ উল হক তাদের ক্লাব প্রতিষ্ঠার আগে ও পরে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার বিষয় উল্লেখ করে বলেন, “আমরা ২০১৭ সাল থেকে একদল দাবাড়ু শিক্ষার্থী মিলে দাবাসহ বিভিন্ন ইনডোর ইভেন্ট আয়োজনে জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করলেও কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ লক্ষ্য করিনি। প্রশাসনের এমন গাফিলতির কারনে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভেন্ট প্রতিযোগিরা খুবই হতাশ হয়েছি। বিভিন্ন ইভেন্ট ও টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য আমরা একটা ইনডোর রুম এবং বাজেটের অভাব তীব্রভাবে অনুভব করছি। যার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার কাছে আমাদের তীব্র আকুতি থাকবে, ভবিষ্যতে আমাদের ইনডোর ইভেন্টের আয়োজন এবং পরিচালনার বিষয়টা যেন আরো গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিভাবান ইনডোর গেমিং ইভেন্টের খেলোয়াড়দের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ও সর্বোপরি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার সুযোগ দিবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
এছাড়া ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকিব আদনান শাফিন বলেন, “আমাদের ক্লাব থেকে বর্তমানে ২জন জাতীয় পর্যায়ে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করছে এবং বিগত করোনা মহামরীর সময়ে প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীকে আমরা অনলাইন প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত করেছি এবং প্রতিযোগিতামূলক খেলায় অংশগ্রহণ করিয়েছি। অনলাইন প্লাটফর্মে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০ জনের অধিক খেলোয়াড় ১৬০০+ রেটিংপ্রাপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি আমাদের ক্লাবের কার্যক্রমে সহযোগিতা করা হয় আগামীতে এখান থেকে বিশ্বমানের খেলোয়াড়ের জন্ম হবে বলে আমরা আশাবাদী।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব বলেন, “শরীরচর্চার খেলাধুলার পাশাপাশি নিঃসন্দেহে বুদ্ধিবৃত্তিক ও মননচর্চার খেলাধুলার প্রয়োজন। যারা শরীরচর্চা বিভাগের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতে পারেনা (ফিজিকালি অসমর্থ) বা যারা মানসিকভাবে হতাশায় ভোগে, আমি মনে করি তাদের জন্য এসব বুদ্ধিবৃত্তিক খেলাধুলার বিকল্প নেই। তোমাদের কার্যক্রমগুলো সত্যি প্রশংসনীয়। আমি আশা করবো আগামীতে শরীরচর্চা খেলাধুলার পাশাপাশি মননচর্চার খেলাধুলার আয়োজনে তোমাদের ক্লাবকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।”