ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক রাসেল হোসাইন শনিবার দেশের অমর একুশে বইমেলায় দেখা একজন লেখককে নিয়ে নিজে টাইমলাইনে ফেসবুকে পোস্ট দেন । পোস্ট দেওয়ার পর মুহূর্তেই ওই লেখকের ছবি ও পোস্টটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় আলোচনার ঝড়।
লেখকের নাম ডঃ ফয়জুর রহমান আল সিদ্দিকী, তিনি একজন স্কলার ও অবসরপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী । জানা যায়, লেখক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বামী প্রয়াত ড. ওয়াজেদ সাহেবের সহকর্মী ছিলেন ।
শিক্ষক রাসেল হোসাইনে ফেসবুক পোস্টটি 'দ্য ক্যাম্পাস টুডে'তে তুলে ধরা হলো-
ভদ্রলোকের নাম ডঃ ফয়জুর রহমান আল সিদ্দিকী, উনি একজন স্কলার এবং অবসরপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিউক্লিয়ার কেমিস্ট্রি বিভাগে ১৯৬৫ সালে পি.এইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন।
কেমব্রিজে উনার রেজাল্ট এবং গবেষণার মান এতোটাই উন্নত ছিল যে উনি চাইলে সেখানেই প্রফেসর হতে পারতেন। কিন্তু উনি তা করেন নি। স্বাধীনের পর দেশে এসে পরমাণু শক্তি কমিশনে জয়েন করেন এবং পরবর্তীতে সেখানকার ডিরেক্টর হন। এই পোস্টটা দেয়ার আশায় ছবিটা তোলা হয়নি কিন্তু বেশকিছু অর্থবিত্ত শালী ফেইসবুক /ইউটিউব সেলিব্রেটিদের বই এর পাবলিসিটির পোস্ট দেখে দিতে ইচ্ছা হল। গতকাল বই মেলায় গিয়ে সেখানেই এই লেখককে দেখি।
উনি খুবই দ্রুত হাঁটছিলেন, এক দোকান থেকে অন্য দোকানে যাচ্ছিলেন নিজের বই দেখাচ্ছিলেন দোকানে রাখতে হয়তো বিক্রির জন্যে। আমি শুধু ওনার হাতে ব্যাগ ভর্তি বই আর ক্ষয়ে যাওয়া জুতো টাই খেয়াল করেছিলাম। না বলে ছবিটা তোলা।
শুনেছি ভদ্রলোক শুধুমাত্র বইয়ের খরচটাই নেন কোন লাভ/ব্যবসা করেন না। তখন একটা জিনিস ই মাথায় ঘুরছিল, আমাদের এ সমাজে যতোই প্রতিভাবান হন না কেন, আপনার অর্থবিত্ত না থাকলে হয়তো আপনার প্রতিভা চাপা পড়ে যাবে বস্তা পচা সো কল্ড প্রতিভাবান মানুষের ভিড়ে।
আপনারা যারা বইমেলায় যাবেন তারা আগ্রহী হলে ভদ্রলোকের একটি বই সংগ্রহে রাখতে পারেন। আপনার হয়তো অল্প কিছু টাকা খরচ হবে কিন্তু তার মুখে হাসি ফুটবে কোটি টাকার।
উনার বই পাওয়া যাবেঃ প্যাভিলিয়ন ২ (পুঠিনিলয়)।
বইয়ের নামঃ "বাঙ্গালীর জয়, বাঙ্গালীর ব্যর্থতা"
এদিকে শিক্ষক রাসেল প্রচারণা চালানো জন্য আহবান করে পোস্টিতে লেখেন- আসুন ফয়জুর সাহেবের বইয়ের প্রচারণা না হয় আমি আর আপনিই করি একটি শেয়ারের মাধ্যমে! বাঙ্গালীর জয় হোক, বাঙ্গালীর ব্যর্থতার গ্লানি মুছে!