এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুতে বশেফমুবিপ্রবি উপাচার্যের শোক

এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুতে বশেফমুবিপ্রবি উপাচার্যের শোক

মঞ্জুরুল ইসলাম আকন্দ

বশেফমুবিপ্রবি প্রতিনিধি


আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে আসছিলেন।  এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববদ্যিালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ।

তিনি প্রয়াত শিল্পীর আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

এক শোকবার্তায় উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতে এন্ড্রু কিশোর এক কিংবদন্তির নাম। খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে উচ্চভিত্ত-সবার কাছে তিনি ছিলেন সমান জনপ্রিয়। মাটি-মানুষকে নিয়ে হৃদয়গ্রাহী গানে এ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এন্ড্রু কিশোর।

‘এন্ড্র কিশোর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। ছাত্র অবস্থাতেই তার সুরেলা কণ্ঠের জাদু দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের সংগীত জগতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা অপূরণীয়। কণ্ঠ দিয়ে আপামর বাংলায় মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন এই শিল্পী।’

ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত এন্ড্রু কিশোর টানা ৯ মাস  সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়ে গত ১১ জুন তিনি একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরেন।  এরপর রাজশাহীতে তার বোন শিখা বিশ্বাসের  কাছে ছিলেন তিনি। সোমবার (০৬ জুলাই) সন্ধ্যায় সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর।

সত্তরের দশকের শেষ থেকে প্রায় তিন যুগের ক্যারিয়ারে শতাধিক চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেওয়া এন্ড্রু কিশোর একসময় পরিচিত ছিলেন ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ হিসেবে।

তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে দর্শকপ্রিয় গান ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙের ফানুস’ ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’  ‘ ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে ‘ ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’ সহ আরও অনেক গান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *