বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ০৩:৩৯ অপরাহ্ন

যে কারণে এসাইনমেন্টে ৩৫ শিক্ষার্থীকে শূন্য দিলেন বিভাগীয় প্রধান

  • আপডেট টাইম শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ৪.১০ পিএম

বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে যাত্রা শুরু করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর) বিভাগ।

সম্প্রতি এই চেয়ারম্যান দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের মিডটার্ম পরীক্ষায় প্রায় ৩৫ জন শিক্ষার্থীকে এসাইনমেন্টে শূণ্য দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ চেয়ারম্যান শুধুমাত্র তার ক্ষমতা প্রদর্শন করতেই এসাইনমেন্টে শূণ্য দিয়েছেন।



 “কপি পেস্ট করায় এবং লেখার মান খারাপ হওয়ায় শূন্য দিয়েছি।”



শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিভাগের চেয়ারম্যান খোন্দকার মাহমুদ পারভেজ বিভাগটির উন্নয়নের বিষয়ে যেমন উদাসীন তেমনি কারণ- অকারণে শিক্ষাজীবন নষ্ট করার হুমকি দেন শিক্ষার্থীদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, “আমাদের চার ব্যাচের জন্য মাত্র একটা শ্রেণিকক্ষ রয়েছে সেটিও টিনশেডে। বৃষ্টি হলে সেখানে ক্লাস করা যায় না। এসব নিয়ে বা কোনো সমস্যা নিয়ে কথা বললে চেয়ারম্যান সমাধান তো করতেনই না বরং ওই বিভাগের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নষ্ট করার হুমকি দিতেন। আর আমরা যাতে তাকে ভয় পাই, এই কারণে তিনি আমাদের ৩৫ জনকে
‘রিফিউজি মাইগ্রেন্টস এন্ড ডিসপ্লেসড’ কোর্সে এসাইনমেন্টে শূণ্য দিয়েছেন।”

অন্য এক শিক্ষার্থী জানান, “তিনি আমার এসাইনমেন্ট টা পরেই দেখেননি, নিজেই এসাইনমেন্টের কভার তৈরি করেছিলাম যেখানে ‘ই’ এর পরিবর্তে ভুল করে ‘এ’ ব্যবহার করি। এই নামের বানান ভুল হওয়ায় এসাইনমেন্ট ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি।

এদিকে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খোন্দকার মাহমুদ পারভেজ। শিক্ষার্থীদের তিনি নিজের সন্তানের মত ভালোবাসেন। যদি আপনি শিক্ষার্থীদের ভালোবাসেন তবে কেনো তারা অভিযোগ করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ওদের অতিরিক্ত ভালোবেসে ফেলেছিতো তাই ওরা এসব অভিযোগ করছে।”

এসাইনমেন্টে শুন্য দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে এই শিক্ষক বলেন, “কপি পেস্ট করায় এবং লেখার মান খারাপ হওয়ায় শূণ্য দিয়েছি।”

কিন্তু তিনি যেসকল শিক্ষার্থীকে শূণ্য দিয়েছেন তারা প্রায় সকলেই অন্যান্য পরীক্ষাগুলোতে ভালো ফলাফল করেছেন। যেসকল শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট লেখার মান এতটা নিম্ন তারা কিভাবে অন্যান্য পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করলেন এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি এই শিক্ষক।

বর্তমানে বিভাগটিতে প্রায় ৪৫০ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। কিন্তু বিভাগের চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতায় নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সঙ্কিত এইসব শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, খোন্দকার মাহমুদ পারভেজ বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের ভাতিজা। অভিযোগ রয়েছে তিনি সাবেক উপাচার্যের সহায়তায় দুর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে।

The Campus Today YouTube Channel

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazar_creativenews_II7
All rights reserved © 2019-20 The Campus Today