ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এফ রহমান হলে শিক্ষার্থীদের কাপড় ধোঁয়ার জন্য স্থাপন করা হয়েছে চারটি ওয়াশিং মেশিন। পানির অপচয় ও খরচ বাঁচাতে ওয়াশিং মেশিনগুলো ভূমিকা রাখবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
তবে আবাসিক ভবনে মেশিনগুলো কতদিন চলবে তা নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, স্যার এফ এ রহমান হলে ১০৪টি আবাসিক কক্ষ রয়েছে। এসব কক্ষে প্রায় ৯০০ শিক্ষার্থী বসবাস করে। বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী প্রতিদিন ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করে। এটি করার ফলে, মেশিনটি খুব দ্রুত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অতএব, মেশিনটি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর স্যার এফ রহমান হলে গিয়ে দেখা যায়, হলের গেস্টরুমের একটু সামনেই স্থাপন করা হয়েছে ওয়াশিং মেশিনগুলো। তত্বাবধায়ক কোম্পানি গ্লোবান ওয়ান ব্যবহারের নিয়ম ও প্রক্রিয়া দেওয়ালে সেঁটে দিয়েছেন। অনলাইন প্রক্রিয়ায় ইয়োর ক্যাম্পাস অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা পরিশোধ করে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করতে ক্যাম্পাস অ্যাপে ঢুকে ১৪টি ধাপ অতিক্রম করে শিক্ষার্থীরা পেয়ে যাবেন ৯০ ভাগ শুকনো পরিষ্কার কাপড়। এর জন্য খরচ পড়বে মাত্র ২ টাকা।
হলের ছাত্রদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কাপড় ধোঁয়ার জন্য এমন আধুনিক যন্ত্র পেয়ে তারা উচ্ছ্বসিত। ঢাবির সবচেয়ে ছোট হলটিতে সবার আগে এমন আধুনিক সেবা পাওয়ায় তারা খুশি। এই মেশিনের ফলে একদিকে তাদের সময় যেমন বাঁচবে; অন্যদিকে পানির অপচয় কমবে। তবে প্রায় ৯০০ শিক্ষার্থীর জন্য চারটি মেশিন নগণ্য বলে জানিয়েছেন তারা।
আরও পডুনঃ ঢাবিতে বাসি-পচা খাবার দেওয়ায় ক্যান্টিনে তালা
স্যার এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র সিহাব বলেন, এফ রহমান হল ছোট হওয়ায় কাপড় শুকাতে সমস্যা হয়। কাপড় পরিষ্কার করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা লিমিটলেস পানি ব্যবহার করে পানির অপচয় করছে। কিন্তু ওয়াশিং মেশিনে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি ও ডিটারজেন্ট ব্যবহার হবে। এতে হলে পানি ব্যবহার কমবে। এর ফলে বিদ্যুতের অপচয় কিছুটা হলেও রোধ হবে।