আরাফাত হোসেন, জিটিসি
বিশ্বজুড়েই আতঙ্কিত করোনাভাইরাস এখন প্রবেশ করেছে বাংলাদেশেও। সংক্রমণ ঠেকাতে আইইডিসিয়ার থেকে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে নির্দেশ দেয়া হলেও সেটা সম্ভব হচ্ছে না ৫৮ হাজার শিক্ষার্থীর প্রতিষ্ঠান সরকারি তিতুমীর কলেজে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জনসমাগম ঠেকাতে না পারলেও নিজ নিজ দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে সতর্কতা অবলম্বন করছেন শিক্ষার্থীরা। আজকের ক্যাম্পাস ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় ব্যতিক্রম। অধিকাংশ শিক্ষার্থীর মুখে মাস্ক পরিধান করেছে, ক্যাম্পাসের আনাচে কানাচে আগের মত আড্ডা চলমান থাকলেও অনেকেই পরস্পরের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকছে। একে অন্যের সাথে করমর্দন ও কোলাকুলি অনেকটা এড়িয়ে চলছে শিক্ষার্থীরা।
কলেজটির শিক্ষার্থী মামুন সোহাগ বলেন, শুধু মাস্ক ব্যবহার কিংবা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নয়, করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, জ্যামিতিক হারে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। ব্যাপারটা এমন যে, কয়েকদিনের ব্যবধানে এটি চীন থেকে গোটা বিশ্বের রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশও ঝুঁকির বাইরে নয়। তাই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার চেষ্টা করতেছি।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ব্যাপারে সাহেদুজ্জামান সাকিব নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, করোনা থেকে বাঁচতে বেশ কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এর মধ্যে সাবান বা সেনিটাইজার দিয়ে ঘন ঘন হাত এবং মুখমণ্ডল পরিষ্কার, আক্রান্ত ব্যক্তি হতে দূরত্ব বজায় রাখা এবং মুখে মাস্ক ব্যবহার করা। এছাড়াও রাস্তায় চলাফেরা কিংবা ভ্রমণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: আশরাফ হোসেন বলেন, আমরা করোনাভাইরাস শঙ্কা কাটাতে ইতিমধ্যে মাঠে এসেম্বলি বন্ধ করে দিয়েছি। প্রতি ক্লাসে ক্লাসে শিক্ষার্থীরা এসেম্বলি করছে। এছাড়াও আমরা কলেজের জনসমাগম তৈরি করে এমন অনুষ্ঠান বা কর্মসূচি করছি না এবং শিক্ষার্থীদের নিরুৎসাহিত করছি।
কলেজ বন্ধ দেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ বলেন, কলেজ বন্ধ দেয়া উপর মহলের হাতে। এটা আমরা চাইলেও বন্ধ করতে পারব না। তাই আমাদের ক্লাস নিতে হচ্ছে পরিক্ষা নিতে হচ্ছে। তবে সরকার থেকে আমাদের যে নির্দেশনা দেয়া হবে আমরা সে অনুযায়ী কার্যক্রম করব।