আন্তর্জাতিক টুডে
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন চলছে ভারতজুড়ে। বার বার বলা হচ্ছে, এই করোনা থেকে বাঁচতে হলে একমাত্র অস্ত্র সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।
আর সেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবার নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিল না কেউ। ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের আলিগড়ে।
এমতাবস্থায় ওই ব্যক্তির শেষকৃত্যে এগিয়ে আসে তার চার মেয়ে। মেয়েরা বাবার মরদেহ কাঁধে করে নিয়ে গেল শ্মশানে।
জানা গেছে, ভারতের আলিগড়ের নুমাইশ ময়দানের চা-হেলিংয়ের বাসিন্দা ছিলেন (৪৫)। তিনি পেশা চা বিক্রেতা হলেও বেশ কিছুদিন ধরে যক্ষ্মা রোগে ভুগছিলেন। অভাবের সংসারে সরকারি হাসপাতাল থেকে ওষুধ এনেই কোনও রকমে নিজের রোগের মোকাবিলা করছিলেন। তার ৫ মেয়ে। তদের মধ্যে এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে, আর চার মেয়ে অভাবের কারণেই পড়াশোনা ছেড়ে ঘরের কাজ করে।
তবে সঞ্জয় কুমার চরম দারিদ্রতার মধ্যেও কারও সাহায্য নেননি । সম্প্রতি তার শরীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু করোনার তাণ্ডবে ভারতজুড়ে চলছে লকডাউন। সরকারি হাসপাতালেও ওষুধের সঙ্কট। করোনায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে ওষুধ কিনে খাওয়া সম্ভব ছিল না তার পক্ষে। শেষরক্ষা হলো না আর । করোনায় আক্রান্ত না হয়েও করোনাকালে মারা গেলেন তিনি।
করোনাকালে মারা যাওয়ায় আতঙ্ক আর সামাজিক দূরত্ব কারণে তার মৃত্যুর পর সৎকারের কাজেও এগিয়ে আসেনি কেউ। তার চার মেয়েই কাঁধে করে বাবার মরদেহ নিয়ে যায় শ্মশানে।