কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ধিত ভর্তি কার্যক্রমে কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে মেধাতালিকায় আগে থাকা শিক্ষার্থীরা পছন্দ অনুযায়ী বিষয় না পেলেও পেছনে থাকা অনেক শিক্ষার্থীই তাদের পছন্দ অনুযায়ী বিষয় পাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মেধা তালিকায় আগে থাকা শিক্ষার্থীরা।
খ ইউনিটের অধীনের বাংলা বিভাগে ভর্তি হওয়া এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া আমি পছন্দমতো বিষয়ে যেতে পারছি না। অথচ মেধাতালিকায় আমার পরে থাকা ব্যক্তিরা পছন্দের বিষয় পাচ্ছেন। বিষয়টি খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
জানা গেছে, গুচ্ছভূক্ত ভর্তিপরীক্ষার পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মোট আসনের প্রায় নয় শতাংশ খালি রেখেই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। সেসময় ৩০ মার্চ পর্যন্ত শূন্য আসনে ভর্তি কার্যক্রম চলমান রেখে এরপর আসন ফাঁকা থাকলেও ভর্তির সময়সীমা আর বাড়াবে না বলে ঘোষণা দেয় প্রশাসন। তবে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করায় একমাস পর ফাঁকা আসনের সংখ্যা ১০ শতাংশে উন্নীত হয়। ফলে ফের ভর্তির সময়সীমা বাড়ায় কর্তৃপক্ষ।
গত ৩০ মার্চ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি। একই সভায় কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন বন্ধ রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুষদের ওপর ছেড়ে দেয় কমিটি। সভার এ পরামর্শ অনুযায়ী কোটায় মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয় খ ইউনিট।
খ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. এম. এম. শরীফুল করীম বলেন, যারা কোটায় ভর্তি হচ্ছে তারা এমনিতেই সুবিধা পাচ্ছে। ফলে আমরা কোটায় শূন্য আসনে নতুন ভর্তি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ সিদ্ধান্তের ফলে কোটার খালি আসনে ইতোমধ্যে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা মাইগ্রেশন করতে পারছেন না। তাদেরকে মাইগ্রেশন না দিয়ে ওই আসনে নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়ার ফলে মেধাতালিকায় আগে থাকা শিক্ষার্থীদের সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন বলেন, ‘বিষয়টি আমি এখনও জানিনা, যদি এমন কিছু হয় তবে এটা বৈষম্য হয়েছে। আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো।’