মাইনুদ্দিন পাঠান, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল হাতিয়ার হচ্ছে কৃষকরাই কিন্তু কৃষকরাই সবসময় দেশের মানুষের অবহেলায় থাকে এমনকি ফসলের মূল্যের সঙ্গে তাদের ভাগ্যে জোটে না পর্যাপ্ত সম্মানও। এবার সেই কৃষকদের সম্মান জানাতে লুঙ্গি পরে ক্লাস রুমে এলেন কৃষি বিভাগের একদল ছাত্র।
গত রবিবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কৃষি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্ররা লুঙ্গি পরে ক্লাসে আসেন।
দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব টিকে থাকুক আজীবন। কর্মজীবন এবং পারিবারিক ব্যস্ততার মাঝেও যেন বন্ধুত্বের বন্ধন ছিন্ন না হয়। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শেষ সেমিস্টারের ফলপ্রার্থী শিক্ষার্থীরা স্নাতক পর্যায়ের শেষ ক্লাসের দিন এভাবেই অনুভূতি ব্যক্ত করছিলেন।
তারা জানান, ক্যাম্পাস লাইফের শেষ ক্লাসকে স্মরণীয় রাখতে নোবিপ্রবি কৃষি বিভাগের ৪র্থ ব্যাচ নেয় এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। বাঙালির ঐতিহ্য এবং কৃষির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং কৃষক ও কিষাণীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে মেয়েরা শাড়ি এবং ছেলেরা লুঙ্গি পরে গামছা মাথায় বেঁধে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ ক্লাস করেন।
ক্লাস শেষে সবাই সেই সাজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা প্রদক্ষিণ করেন এবং বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত করেন পুরো ক্যাম্পাস।
জানতে চাইলে কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব জানান, দীর্ঘ চারবছর বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধুদের সাথে কাটিয়েছি। যেকোনো সহযোগিতায় সবসময় তাদের পাশে পেয়েছি। আজকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পড়াশোনা শেষ সবাই চলে যাবে একথা ভাবতেই অবাক লাগছে। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ ক্লাসটি স্মৃতি হিসেবে রাখার জন্য আমরা ভিন্নধর্মী আয়োজন করছি। আর আমরা যেহেতু কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থী তাই কৃষকদের প্রতি সম্মান রেখে লুঙ্গি পড়ে ক্লাস করতে আসছি।
এ বিষয়ে কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আল আমীন আকাশ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ ক্লাস আসলেই খুব আবেগঘন সময়, এই মুহূর্তটা স্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছিলাম ভিন্ন কিছু করে। তা ছাড়া আমাদের পঠিত বিষয় কৃষি, তাই এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং এই কৃষিকে বাঁচিয়ে রাখতে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করছে, তাদের প্রতি সম্মান জানাতেই আমরা এই ধরনের পোশাক বেছে নিয়েছি’।