খেঁজুর রসের টানে, গাছির বাড়ির পানে

টুডে ডেস্ক Avatar

ক্যাটাগরি : ,

আজাহার ইসলাম, ইবি


প্রকৃতিতে চলছে মাঘ মাস। কথিত আছে, ‘মাঘে শীতে নাকি বাঘ কাঁদে’। কিন্তু শীতের সকালে খেঁজুর গাছের রস খেতে কার না ভালো লাগে। তাইতো মাঘের তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে আমরা ক’জন বন্ধু গিয়েছিলাম খেঁজুর রসের টানে। গাছির বাড়ির পানে।

তখন ঘড়িতে ভোর ৬ টা বাজে। শোভন কল দিয়ে বললো আজাহার তাড়াতাড়ি ওঠ। উঠে রেডি হয়ে গেলাম ক্যাম্পাসের বঙ্গবন্ধু হল পকেট গেটের কাছে। গাছির বাড়ি যাওয়ার একমাত্র বাহন ভ্যান। ক্যাম্পাস সংলগ্ন শেখপাড়া বাজার থেকে ভ্যান নিয়ে রওনা দিলাম। শোঁ শোঁ আওয়াজে ছুটে চলেছে ভ্যানগাড়ি। চলছে খুঁনসুটি, আড্ডা আর গান।

ভ্যানে করে গ্রামের ভাঙা রাস্তা দিয়ে দুলতে দুলতে, ঝাকি খেতে খেতে চলছি গাছির বাড়ির পানে। অপেক্ষা আর সইছেই না। উৎকন্ঠা সবার মাঝেই একটাই। কখন পৌঁছাবো গাছির বাড়ি। পান করবো অমৃত সুধার ‘খেঁজুরের রস’।

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থেকে ৩ কি.মি. দূরে হাশেম গাছির বাড়ি। তিনি প্রতিদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই ছুটে যায় খেঁজুর গাছে ঝুলে থাকা হাঁড়ি তুলতে। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে তার বাড়িতে দেখা মেলে রসের টানে দুর-দূরান্ত ছুটে আসা অনেক মানুষ।

গাছি মামা ঘাঁড় থেকে ভাঁড় (হাঁড়ি) নামানোর সাথে সাথেই নিলাম ১ ভাঁড়। নিয়ে চললাম গাছির বাড়ির পাশেই এক খোলা মাঠে। একেকজন যেন তৃষ্ণার্ত হয়ে আছে। ভাঁড় রাখার সাথে সাথেই গ্লাসে ঢেলে খাওয়া শুরু। চুমুকেই যেন তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে বয়ে যায় অন্য রকম আনন্দ। যতটা না খাওয়া। তার থেকে বেশি ব্যস্ত ছবি তোলা নিয়ে। ক্লিকে ক্লিকে ধারন করতে ভুললাম না এই আনন্দঘন মুহূর্ত।

ভ্যানে চড়ে গেলেও ফিরলাম হেটেই। গ্রামের সরু আঁকাবাঁকা মেঠোপথ বেয়ে হেটে চলেছি। হাসি, ঠাট্টা, গান আর খুঁনসুটিতে হাটতে হাটতে চলে আসলাম ক্যাম্পাসে। অনেকটা পথ হাটার পর সবাই ক্লান্ত। একটু ক্লান্ত হলেও এক নতুন অনুভুতি এবং খুশির ছাপ লক্ষ্যনীয় সবার চোখে মুখে। অল্প সময়ে কাটলো এক অসাধারণ মুহূর্ত। যা মানসপটে ধারণ করার মত।

সংবাদটি শেয়ার করুন

নতুন পেজে যুক্ত হতে The Campus Today New Page ক্লিক করুন

আমাদের আগের পেজটি হ্যাকড হয়েছে, নতুন পেজে যুক্ত হতে The Campus Today New Page ক্লিক করুন

আমাদের আগের পেজটি হ্যাকড হয়েছে, নতুন পেজে যুক্ত হতে The Campus Today New Page ক্লিক করুন

This will close in 5 seconds