আবদুল্লাহ আল নোমান, নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আইন বিভাগের সব ব্যাচকে নিয়ে চড়ুইভাতি অনুষ্ঠিত হয়।
চড়ুইভাতি অনুষ্ঠানটি বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) শুরু হয় সকাল ৮ টায় এবং সারাদিন ব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনে মুখরিত ছিলো। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজন, গান, আড্ডায় মুখর ছিলো চড়ুইভাতি অনুষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার সকাল হতে না হতেই সবাই জড় হয় পূর্বনির্ধারিত স্থান নোবিপ্রবির নীলদীঘির পাড়ে। বাজারের দায়িত্বে থাকা সবাই বাজার নিয়ে যথাসময়ে হাজির হয়। প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সেরে শুরু হয় কাজের ধুম।
দায়িত্ব অনুযায়ী সকলে যে যার মতো শুরু করল কাজ। কেউ পানি আনা, কেউ কাটাকাটি, কেউবা চুলা জ্বালানো, কেউ আবার হাঁড়ি-পাতিল পরিষ্কারের কাজে নেমে গেলো। কাঠ কুড়ানো, চুলা বানানো, চাল ধোয়া, মাংস কাটাসহ সব কাজই করা হলো মিলেমিশে। রান্নার দায়িত্বে ছিলো এমরান, হোসাইন,নাহিন সহ আরো অনেকে। রান্না করতে করতে একসময় দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলো। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে শুরু হলো ভোজন পর্ব। রাঁধুনিদের রন্ধনশিল্পে মুগ্ধ হলো সবাই।
চড়ুইভাতি নিয়ে আইন বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাফিসা বলেন, একটা সাধারণ দিন অসাধারণ হয়ে গেলো এই চড়ুইভাতি আয়োজনের মধ্য দিয়ে। এ যেন এক মিলনমেলা। ব্যাচমেট, জুনিয়র, শিক্ষকগণসহ আইন পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের একত্রিত হওয়াটা সত্যিই অনেক বেশি আনন্দের অনুভূতি দিয়েছে। ক্লাস, এসাইনমেন্ট, সিটি এসবের ভারে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া মনে প্রাণোচ্ছলতার এক জোয়ার বইয়ে দিলো আমাদের চড়ুইভাতি। সবাই মিলে আমরা অনেক আনন্দ, হই হুল্লোড় করেছি। নোবিপ্রবি আইন পরিবারের স্মৃতিতে আমরা যুক্ত করতে পারলাম আরেকটি বিশেষ মুহুর্ত।
দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু ইউসুফ বলেন, বরাবরই ডিপার্টমেন্টের যেকোনে প্রোগ্রাম অনেক ভালো লাগে। আর সেটা যদি চড়ুইভাতির মতো প্রোগ্রাম হয় তাহলে তো আনন্দ একটু বেশিই অনুভব হয়।সিনিয়র, জুনিয়র, স্যার-ম্যামসহ বন্ধু সবাইকে নিয়ে চড়ুইভাতির দিনটা সত্যিই অনেক উপভোগ্য ছিল। সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, মিলেমিশে কাজ করা, খাওয়া দাওয়া, দিনশেষে সবাই একসাথে আড্ডা আনন্দ উল্লাস কতটা উপভোগ্য ছিলো তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।আমি চাই এমন দিন বারবার ফিরে আসুক।
আইন বিভাগের প্রধান ও চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া বলেন, ‘শিক্ষক শিক্ষার্থীদের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নে নিয়মিত পাঠদানের পাশাপাশি চড়ুইভাতি, শিক্ষা সফর ও বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজন অন্যতম ভূমিকা পালন করে বলে আমি বিশ্বাস করি। এই ধরনের আয়োজন বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলে যা শিক্ষা ও চাকুরি জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে এসে সদ্য শেষ হওয়া নোবিপ্রবি আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে রানারআপ হওয়া আইন বিভাগ ফুটবল দলকে গলায় মেডেল পড়িয়ে দেওয়া হয়।