ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীদের দুঃসংবাদ দিয়েছে। গ্রামীণফোনের (জিপি) গ্রাহকরা এখন থেকে আর ২০ টাকার কম রিচার্জ (ফ্লেক্সিলোড) করতে পারবেন না। দেশের মোবাইল অপারেটর শীর্ষ এ কোম্পানি গ্রাহকদের এসএমএস পাঠিয়ে এ তথ্য জানিয়ে দিচ্ছে।
বাংলাদেশি টেলিকম অপারেটরদের মধ্যে গ্রামীণফোনই প্রথম মোবাইল ন্যূনতম ২০টাকা রিচার্জের সীমা নির্ধারণ করে দিলো। এরআগে গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের সর্বনিম্ন রিচার্জের লিমিট ছিল ১০ টাকা।
সম্প্রতি ভয়েস কল-ইন্টারনেট ব্যবহারে গ্রাহকদের মানসম্মত সেবা দিতে না পারায় গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
এখন থেকে গ্রামীণফোনে ২০ টাকার কম রিচার্জ (ফ্লেক্সিলোড) করা যাবে না। এর আগে মোবাইল রিচার্জের সর্বনিম্ন লিমিট ছিল ১০ টাকা। তবে গ্রাহকরা ১৪ টাকা ও ১৬ টাকার মিনিট প্যাকেজগুলো কিনতে পারবেন। শুক্রবার এসএমএস বার্তায় ব্যবহারকারীদের এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০ টাকা রিচার্জ করলে ৩০ দিনের মেয়াদ পাওয়া যাবে। এর আগে ১০ টাকা রিচার্জেও ৩০ দিন মেয়াদ পাওয়া যেত।
২০ টাকার কম রিচার্জ না করা গেলেও গ্রামীণফোনের ৯ টাকা, ১০ টাকা ও ১৯ টাকার স্ক্র্যাচ কার্ডগুলো আগের মতই ব্যবহার করা যাবে।তবে জিপি থেকে জিপি নাম্বারে সর্বনিম্ন ১০ টাকা ব্যালেন্স ট্রান্সফার করা যাবে।
গ্রামীণফোনের এসএমএসে জানানো হয়, এখন থেকে গ্রাহকরা ২০ টাকার কম রিচার্জ করতে পারবেন না। তবে এখনো ১৬ টাকা ও ১৪ টাকার মিনিট প্যাকেজগুলো কিনতে পারবেন। এছাড়া ২১ টাকা ও ২৯ টাকা রিচার্জ করে যেকোনো স্থানীয় নম্বরে দুদিন এবং তিনদিনের জন্য বিশেষ কল রেটের সুবিধাও উপভোগ করা যাবে।
বুধবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা গ্রামীণফোনের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গ্রামীণফোন নতুন কোনো সিম বিক্রি করতে পারবে না বলেও নির্দেশনায় জানানো হয়েছে।
গ্রামীণফোনের কাছে (অডিট আপত্তির) সরকারের বকেয়া টাকার পরিমাণ ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৪ লাখ ৭৬ হাজার ১৩৫ টাকা। এর মধ্যে পরিশোধ করেছে ২ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে বকেয়ার পরিমাণ ১০ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৪ লাখ ৭৬ হাজার ১৩৫ টাকা।