চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু
নুর নওশাদ : করোনার কারণে স্থগিত হওয়া পরীক্ষাসমূহ সশরীরে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়(চবি) কর্তৃপক্ষ।আজ থেকেই চবিতে স্থগিত পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয়েছে।
বুধবার(৯জুন) চবি মার্কেটিং বিভাগের ১৬-১৭ সেশনের ২৫তম ব্যাচের স্থগিত ষষ্ঠ সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেয়ার মধ্য দিয়ে আবারো সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু হয়েছে।
পরীক্ষা শুরু হলেও বন্ধ থাকছে হল।ফলে পরীক্ষার্থীদের স্থানীয় মেস কিংবা কটেজে থেকেই পরীক্ষা দিতে হচ্ছে।তবে পরীক্ষায় উপস্থিতির হার শতভাগ।
ইতোমধ্যে আরো বেশকিছু বিভাগ পরীক্ষার তারিখ ও রুটিন প্রকাশ করেছে।শুরুতেই বিভাগগুলো তাদের স্থগিত হওয়া পরীক্ষাসমূহ গ্রহণ করবে।
নৃবিজ্ঞান বিভাগ ১০ জুন থেকে সম্মান শেষ বর্ষের স্থগিত পরীক্ষা নেয়ার রুটিন প্রকাশ করেছে।ইংরেজি বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা হবে ১৩ জুন থেকে।রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৬ জুন থেকে এম.এস.এস পরীক্ষার নোটিশ দিয়েছে।অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা ২৮ জুন থেকে শুরু হবে বলে ।মার্কেটিং ২৬ তম ব্যাচের পরীক্ষা ২১জুন থেকে শুরু হবে।প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগ ২০ তারিখ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বর্ষের মৌখিক,ব্যবহারিক ও তাত্ত্বিক পরীক্ষা নিবে।
এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগ ১৫ তারিখের পর সিদ্ধান্ত দিবে বলে জানিয়েছে।
পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি ‘ইতিবাচক’ ভাবে দেখছেন চবি শিক্ষার্থীরা।এর আগে বেশ কয়েকবার সশরীরে পরীক্ষা ও ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৫-১৬ সেশনের সম্মান শেষবর্ষের শিক্ষার্থী আকাশ মজুমদার বলেন, আমরা এতদিন খুবই ডিপ্রেশনে ছিলাম।পরীক্ষার সিদ্ধান্তে মনে হচ্ছে এখন নিশ্বাস নিতে পারবো।আমরা খুবই বাজে অবস্থায় পড়ে গেছিলাম।
অর্থনীতি বিভাগের ১৪-১৫ সেশনের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মিছবাহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, এতোদিন ধরে আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াতে আমার অর্থনীতি ডিপার্টমেন্ট সহ সকল ডিপার্টমেন্ট অবশ্যই ধন্যবাদ প্রাপ্য। আশা করছি যথাসময়ে পরীক্ষাগুলো দেওয়ার মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীরা আবারও আমাদের প্রাত্যহিক ব্যস্ত জীবনে ফিরে যেতে পারবো।
এবিষয়ে চবি ব্যাবসায় প্রসাশন অনুষদের ডিন প্রফেসর এস এম সালামত উল্ল্যা ভুঁইয়া বলেন, মার্কেটিং বিভাগে কয়েকটি পরীক্ষা বাকি ছিল।আমরা এখন স্থগিত পরীক্ষা গুলো নিয়ে নিচ্ছি।পরীক্ষায় শতভাগ উপস্থিতির হার শতভাগ ছিল। ১৫ তারিখ মিটিং এর পর বাকি পরীক্ষাগুলো সিদ্ধান্ত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এস এম মনিরুল হাসান বলেন, স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়ার জন্য ইউজিসির অনুমতি আছে।ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণের কথা ভেবে আমরা সকল ফেকাল্টির ডিন ও চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানিয়েছি।তাই উনারা পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
উল্লেখ্য,এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে ১৭ মে হল এবং ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ঘোষণা দেয়।একই সাথে বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরই সব পরীক্ষা নেওয়া হবে।এই ঘোষণার সাথে একমত পোষণ করে ২৫ফেব্রুয়ারি চবি কর্তৃপক্ষ সকল ধরনের পরীক্ষা স্থগিত করে।