চবি টুডেঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের দেয়ালে দেয়ালে এক পোস্টারে ‘ফাল্গুন ও ভ্যালেনটাইন ডে-তে শাড়ি পরানো হবে’ শিরোনামের একটি বিজ্ঞাপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। বিজ্ঞাপনটি নিয়ে অনেকে হাস্য রসাত্মক শিরোনাম দিয়ে শেয়ার দিচ্ছেন। কেউ কেউ এটিকে একটি ভালো ‘ব্যবসায়ী’ ধারণা বলেও মন্তব্য করছেন।অনেকে আবার নানা সমলোচনা ও করছেন।
ভাইরাল হওয়া বিজ্ঞাপনটিতে লেখা – ‘শাড়ি পরানো হবে, ফাল্গুন ও ভ্যালেনটাইন ডে উপলক্ষে, দিন: ১৩ ফেব্রুয়ারি ও ১৪ ফেব্রুয়ারি; স্থান: জননেত্রী শেখ হাসিনা হল, ৬তলা; মোবাইল: … ; টাকা: ৪০ টাকা
(বি.দ্র: আসার আগে কল দিয়ে আসবেন, প্রয়োজনীয় সেফটিপিন নিয়ে আসবেন)’।
এ বিষয়ে চবি ছাত্রীরা জানান, শুধু শেখ হাসিনা হল নয়, বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে প্রায় সবগুলো ছাত্রী হলে এ ধরনের শাড়ি পরানোর উদ্যোগের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, শুধু শেখ হাসিনা হল নয়, আমাদের অন্যান্য হলগুলোতেও কয়েকজন বিভিন্ন সময়, বিশেষ বিশেষ দিবসে শাড়ি পরানোর এমন উদ্যোগ নেন কারণ অনেকে ভালোভাবে শাড়ি পরতে জানেন না ।
বিজ্ঞাপনটি নিয়ে চবি শিক্ষার্থী শাহনাজ ঝুমু মন্তব্য করছেন, হাতে টাকা-পয়সা নাই। ভাবছি, এই ব্যবসায় শুরু করব…।
আরেক শিক্ষার্থী অর্পা রায় লিখেছেন, ‘এখানে হাসির কী আছে? পারলারে টাকা দিয়ে শাড়ি পরতে পারে মেয়েরা, আর এভাবে যদি কোনো আপুর একটু হেল্প হয়, তাহলে ক্ষতি কী? হলে অনেক আপুরাই শাড়ি পরতে পারে না। এ বিষয়টাকে মজার ছলে না নিয়ে ভালো উদ্যোগ হিসেবে দেখতে পারেন’।
আরো পড়ুনঃ হিমেলের মা ৩৫ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা পাবেন
এক পোস্টে প্রার্থনা আজিজ মন্তব্য করেছেন, ‘ব্যবসায়িক ধারণা হিসেবে আইডিয়াটা একদম মন্দ নয়। অনেক মেয়ে আছে যারা খুব ভালো শাড়ি পরে এবং পরাতে পারে। দেখা যায়, বিশেষ দিনগুলোতে এদের অনেক চাপ পোহাতে হয়। সিনিয়র-জুনিয়র সবাই রিকোয়েস্ট করে আমায় পরিয়ে দাও, কুচিগুলো ধরে ঠিক করে দাও, নানাভাবে তাদের হেল্প করতে হয়। এমনকি নিজের গাট্টি থেকে সেফটিপিনও বিলাতে হয়। এদের হেল্প করতে গিয়ে নিজের শাড়ি পরার সময় এবং ইচ্ছা দুটোই নষ্ট হয়। সেদিক থেকে চিন্তা করলে এ আইডিয়াটা নিজেকে চাপমুক্ত রাখার চমৎকার কৌশল হতে পারে। পাশাপাশি উপার্জনের রাস্তা যদি খুলে যায় মন্দ কী’!
বিজ্ঞাপন দেওয়া ওই ছাত্রী গণমাধ্যমে বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তিটা হলে টানানোর জন্যই করেছিলাম। তবে সেটা টানানোর আগেই সম্ভবত দোকান থেকে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এটা তো ছাত্রী হলের জন্য নরমাল একটি বিষয়। অনেকে জামা-কাপড়, মেহেদি পরানোসহ নানা বিষয়ে এ ধরনের বিজ্ঞাপন দেয়, সেগুলো নিয়ে তো আলোচনা হয় না’!
তিনি আরো বলেন, ‘বিজ্ঞাপনটি নিয়ে অনেকে ইতিবাচক মন্তব্য করছেন। যারা ইতিবাচক মন্তব্য করছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর যারা নেতিবাচক মন্তব্য করছেন, তারা তাদের মন্তব্যের মধ্য দিয়ে নিজেদের মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন’।