ছাত্র ইউনিয়নের নামে অবৈধ কমিটি গঠনের নিন্দা ইবি সংসদের
ইবি প্রতিনিধি
গত ১২ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নামে জরুরি ৪১ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়া এই সম্মেলনে ৪০তম জাতীয় সম্মেলনের প্রতিনিধি পর্যবেক্ষকরাই উপস্থিত ছিলো বলেও বিভিন্ন ফেসবুক পোস্টো লক্ষ্য করা যায়। এসব বিষয়ে নিন্দা জানিয়ে আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি
নুরুন্নবী সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক জি. কে সাদিক স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, গত ১২ এপ্রিল জরুরি সম্মেলনের নামে যা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিক ও অনৈতিক। ছাত্র ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ সংকট নিরসনে গত ১১ এপ্রিল, ২০২১ কেন্দ্রীয় সম্পাদকীয় সভায় সকলের ঐক্যমতের মাধ্যমে নতুন করে কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারন করার কথা থাকলেও আমরা দেখতে পাই কতিপয় সদস্য সাংগঠনিক ঐক্য বিনষ্ট করার জন্য (১২ এপ্রিল, ২০২১) জরুরি কাউন্সিল নামক নাটক মঞ্চস্থ করে। আমরা এও লক্ষ্য করেছি কোন রকমের গঠনতন্ত্রকে তোয়াক্কা না করেই অনুর্ধ্ব ৬০ জন (?) প্রতিনিধি-পর্যবেক্ষক নিয়েই এই কাউন্সিল নামক নাটক মঞ্চস্থ করা হয়। অথচ জরুরি কাউন্সিলে কেবলমাত্র প্রতিনিধিরাই উপস্থিত থাকতে পারবেন বলে গঠনতন্ত্রে উল্লেখ আছে। আমরা এও লক্ষ্য করি এই চক্র সংগঠনের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বিনষ্ট এবং সারাদেশের নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করার জন্য ৪০তম কমিটির ফয়েজ উল্লাহ ও দীপক শীলকে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক করে ৪১ সদস্যের কমিটি গঠন করে। অথচ এই ৪১ জনের অধিকাংশই কাউন্সিলেই উপস্থিত ছিলেন না। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই এই অবৈধ কাউন্সিলে আমাদের সমর্থন নাই এবং বিগত ৪০তম কাউন্সিলে সর্বোচ্চ গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত হওয়া কমিটির প্রতি পূর্ণ আস্থা ব্যক্ত করছি। একই সাথে কেন্দ্রীয় সংসদের কাছে আহ্বান থাকবে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৬৯ বছরের ঐক্যকে যারা নষ্ট করেছে তাঁদের ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সারাদেশের নেতাকর্মীদের কাছে আহ্বান আপনারা কোন রকম গুজবে কান দিবেন না এবং বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঐক্য রক্ষায় আমাদের উপর ইতিহাস অর্পিত দায়িত্ব পালনে পিছ পা হবো না।
একই সাথে বলতে চাই, যারা নেতৃত্বের লোভে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নকে বিভেদের দিকে ঠেলে দিয়েছে এবং অবৈধভাবে ও অনৈতিক পন্থায় তথাকথিত জরুরি সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে ছাত্র ইউনিয়নের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের উপর কালিমা লেপনের চেষ্টা করেছে তাদেরকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের পক্ষ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।