মহামারী করোনা ভাইরাস ছেয়ে গেছে পুরো বিশ্বব্যাপী। এজন্য থমকে গেছে জনজীবনের সংঘবদ্ধ ভাবে চলাফেরা। গত ১৭ মার্চ থেকে বাংলাদেশে করোনা আতঙ্কে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ।
এই বাক্সবন্দি জীবনে কেমন কাটছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শীর্ষ স্থানীয় কলেজ শিক্ষার্থীদের করোনাকালীন হালচাল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই নিয়ে মতামত দিয়েছেন শীর্ষস্থানীয় বেশ কিছু কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
তাদের মতামত নিয়েছেন, নোয়াখালী সরকারি কলেজ; প্রতিনিধি- নুরুল করিম মাসুম।
মাহবুবা শাওলীন স্বপ্নীল, স্নাতকোত্তর, ইংরেজী সাহিত্য বিভাগ, নোয়াখালী সরকারি কলেজ।
∇
আসলে অদ্ভুত হলেও সত্য যে এই অবস্থায় বাসায় বসে আমাকে দিন কাটানো নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না, বরং দিন খুব দ্রুত চলে যাচ্ছে। ঘরে বসে কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে জব আর বাসার অন্য টুকটাক কাজেই ব্যস্ত থাকছি সারাদিন। আমার বরং সময় বের করে নিতে হয় অবসরের।
তবে হ্যাঁ, এডুকেশনাল ইনস্টিউটের প্রয়োজন খুব টের পাচ্ছি। কারণ এভাবে বাসায় বসে পড়ার আগ্রহ পাচ্ছি না। লেখালেখিতে সময় দেয়ার একটা বড় সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাচ্ছি না। তাই ভাবছি নেক্সট বই লেখার কাজ শুরু করবো।
এতকিছুর ভেতরও বাইরের পরিবেশ, বন্ধুবান্ধবের সাথে চায়ের আড্ডায় হাসি ঠাট্টা, হুটহাট রিকশায় ঘুরাঘুরি, লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়া, ক্লাস, গ্রুপ স্টাডি, সবকিছুই মিস করি ভীষণ।
প্রথম প্রথম অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটে যাওয়ার আশংকা করতাম। এখন মানসিক শক্তি রাখার চেষ্টা করছি। কারণ আমাদের সবাইকে এই পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হবে দুইভাবে।
১. যথেষ্ট সচেতন এবং সতর্ক থেকে
২. মানসিক শক্তি রেখে
স্রষ্টার আশীর্বাদ কামনা করছি, খুব দ্রুত এই কঠিন সময় থেকে সবাইকে উদ্ধার করুক।
তাছলিমা তন্বী, প্রাণীবিদ্যা বিভাগ ৪র্থ বর্ষ, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, কুমিল্লা।
∇
করনোকালীন সময় এ শুরু থেকেই প্রচুর অবসর। যেহেতু আমি গ্রামে থাকি,তাই ভাবলাম এ সময় টা কাজে লাগাই। যে জন্য বাসার খালি জায়গা গুলো তে কিছু শাক-সবজি লাগিয়েছি,এগুলোর দেখা শুনা করতাম।বাকি সময় টা তে একাডেমিক পড়ার বাহিরের অনেক বই পড়েছি। এর ই মাঝে অনলাইন এ বিভিন্ন গ্রুপে অনেক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।সে গুলতে অংশগ্রহণ করেছি।এ পর্যন্ত এধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে মোট ৭ টায় উত্তীর্ণ হয়েছি।
তাছাড়া পরিবার এর সবার সাথে অনেক সময় কাটানো হয়েছে।আমাদের বাসায় একটা ছেলে আমাদের কাজে সাহায্য করে, সে পড়াশোনা করে নি, তাই তাকে অল্প অল্প করে পড়াচ্ছি। এছাড়া বেশিরভাগ সময়টাই বই পড়ে কাটিয়েছি এবং কাটাচ্ছি।
কাউছার আহমেদ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ৪র্থ বর্ষ, এম সি কলেজ, সিলেট।
∇
মার্চের ২২ তারিখ শহর ছেড়ে গ্রামে আসি, বাড়িতেই কাটছে দিন; এইরকম হবে আমার কল্পনাই ছিলো না। বাসায় তিন থেকে চারদিন থাকার প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলাম- অথচ এখন জুলাই মাস। সবচেয়ে ভালো হয়েছে একটা ব্যাপার, পরিবারের সাথে অনেকদিন পর লম্বা সময় কাটাচ্ছি- যেন এখানেই লুকায়িত সকল শান্তি। সে সাথে একাডেমিক পড়াশোনা করছি, গল্প-উপন্যাস পড়ছি, আম্মার বিভিন্ন কাজে সাহায্য করছি; বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা, রাতে মাঝেমধ্যে মাছ শিকার- এইতো এভাবেই কাটছে এই করোনার দিন।
মেহেরুন বিনতে রফিক, বাংলা সাহিত্য বিভাগ ২য় বর্ষ, চাঁদপুর সরকারি কলেজ।
∇
করোনার সময় এই দীর্ঘ অবসর কালটা খুবই অপ্রত্যাশিত । তবুও কিছু করে তো সময় পার করতেই হয়। প্রধান যেটা হচ্ছে, বই পড়েই কিছুটা সময় যাচ্ছে।উপন্যাস,কবিতা পড়ছি।লেখালেখির চেষ্টা করছি।নেট ব্রাউজিং করছি। জাতীয়, আন্তর্জাতিক খবরা খবর দেখছি।
ভালো কাটছে না খুব একটা। যে রুটিনে অভ্যস্ত ছিলাম সে রুটিন পালটে যাওয়াতে মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে।এভাবেই চলে যাচ্ছে।
মাহাবুব হাসান তানভীর
দর্শন বিভাগ ৩য় বর্ষ, নোয়াখালী সরকারি কলেজ।
∇
এই করোনা মহামারী সময় বাড়িতে থেকে খুব ভাল সময় পার করতেছি।অনেক ভাবেন কি ভাবে সময় কাটবো! তাদের মত করে আমিও প্রথমে ভেবেছি কি করে সময় কাটাব।
পরবর্তিতে হঠাৎ- একটা চমৎকার সমাধান পেয়ে গেলাম!এবং সাথে সাথে কাজ শুরু করে দিলাম। আর সেটা হলো, বাসার ছাদে অনেক রকমের ফুল গাছ এবং নানারকমের সবজী বাগান রোপণ। কিছু সময়ের পরিবর্তে নিজের করা বাগানের, ফুল, সব্জী দেখে মনে মনে খুব আপ্লুত হই। এই যেন এক সবুজের সাথে বন্ধন।
বায়েজীদ মাহমুদ, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ, নোয়াখালী সরকারি কলেজ।
∇
সময়টা সবার মত বরাবরই বোরিং। ক্যাম্পাসে যাওয়া হচ্ছে না, সবুজ ঘাসে বসে প্রিয় মুখ গুলোর সাথে আড্ডা হচ্ছেনা। ন্যাচার ফটোগ্রাফি খুব ভালোবাসি কিন্তু অনেক দিন আউটডোরেও যেতে পারছি না ছবি তুলতে। প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা থেকে আমি উদ্ভিদ বিজ্ঞানের ছাত্র হলেও EDX, Coursera ভিবিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে অনেক বেশি পড়াশোনা হয়। এই লকডাউনে একাডেমিক পড়া একেবারেই করা হয়নি তবে এই সময়টাকে কিছুটা ভালো ভাবে ব্যয় করার চেষ্টা করছি। ওয়েবসাইট ডেভলপমেন্ট নিয়ে পূর্ব ধারণা থাকলেও পর্যাপ্ত সময়ের কারনে প্রফেশনালী করা হয়নি। কিন্তু এই লকডাউনে সময় কাটানোর জন্য ওয়েব ডেভলপমেন্টটা বেস্ট ছিল।
একটা নিউজ পোর্টাল এবং কিছু ই-কমার্স ওয়েব সাইট তৈরীর কাজ করেছি। অন্যদিকে ইদানীং ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়েও কিছু সুপার শপে ভালো সময় দিচ্ছি। এছাড়া বন্ধুদের সাথে অনলাইনে আড্ডা, মুভি দেখা, মাঝে মাঝে কবিতার বই পড়ে সময় চলে যাচ্ছে। আশেপাশের মানুষদের এই দুঃসময়ে সাধ্যমত পাশে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। সুস্থ পৃথিবীতে সবার সাথে আবার দেখা হবে এই অপেক্ষায় আছি। অপেক্ষায় আছি কখন ফিরে যাবো ক্যাম্পাসের সবুজ ঘাসের আড্ডায়।
নুরুন্নাহার নাদিয়া, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ ২য় বর্ষ, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর।
∇
করোনার এই দিন গুলো কিভাবে কাটে বুঝিনা। কিন্তুু দিনশেষে নিজকে প্রশ্ন করি আয়হায় দিন শেষ? তবুও সারাদিন অবসরে বই পড়ি, বাসায় ইউটিউব দেখে নতুন নতুন রান্না করি, জনপ্রিয় কিছু শ্রেষ্ঠ নাটক সিনেমা দেখি এবং গান শুনি। এবং সময় মতো নামাজ পড়ি। এবং প্রার্থনা করি আবার যেন সব আগের মতো ঠিক হয়ে যায়।
জাকিয়া সুলতানা
দর্শন বিভাগ, ১ম বর্ষ
করমাইকেল কলেজ, রংপুর।
∇
করোনার এ সময়ে, একাডেমিক বই কিছু কিছু পড়তেছি,ছোট ভাইকে পড়াচ্ছি।এছাড়া উপন্যাস পড়লাম বেশ কয়েকটা। টুকটাক লিখালিখি করি। করোনাকালীন অভিজ্ঞতা নিয়ে কলেজে একটা প্রতিযোগীতা ছিল সেখানেও ৩য় হয়েছিলাম।
আর বেশির ভাগ সময়ই পরিবারের সাথে কাটাই। মাঝেমধ্যে এলাকার করোনাকালীন একটি সংস্থা আছে সেখানেও বড় ভাই বোনদের সময় দেই।সবার খোঁজ খবর নেওয়া হয়।
অনলাইনেও একটু আধটু পড়াশোনা করি, লিখালিখি করি। এইতো চলছে এভাবেই।
আসমা জাহান বর্ণা, গণিত বিভাগ ৩য় বর্ষ, নোয়াখালী সরকারি কলেজ।
∇
গত মার্চ মাস থেকেই প্রায় শিক্ষা সংক্রান্ত সব কিছু বন্ধ।করোনাকালীন এই সময়ে হাতে প্রচুর সময়। শহুরে জীবিনে চার দেয়ালের বাহিরে এই সময় অন্য কিছু কল্পনাই করাই যাচ্ছে না। তাই পাঠ্য বই পড়ার সাথে সাথে ভাবলাম অন্য কিছু করা যায় যেটা তে মেধার বিকাশের সাথে সাথে অবসরের আনন্দ পাওয়া যায়। সে চিন্তা ভাবনা থাকে নতুন কিছু শিখার জন্য ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে শুরু করা ক্যালিগ্রাফি৷ আরবি, বাংলা আর ইংরেজি ক্যালিগ্রাফি করার পাশাপাশি জল রঙে নিত্যনতুন ছবি আঁকছি। নতুন নতুন রান্না শিখছি। হাতের কাজ গুলোকে আরো ভালো করার চর্চা করছি। সুই সুতার রঙে ছবি আঁকছি। বাসায় সবাইকে সাহায্য করছি। আলহামদুলিল্লাহ এইভাবে সময় যাচ্ছে..।
আরিফ আহম্মদ মুন্না, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ ২য় বর্ষ, নোয়াখালী সরকারি কলেজ।
∇
এই মহামারীর সময়ে আমাদের জীবন এক নতুন রুপ পেয়েছে। পাল্টে গিয়েছে সময় কাটানোর ধরন। এই যেমন ধরুন মহামারীর পূর্বে একটা ব্যস্ত সময় পার করতাম। তখন সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকে ঘুমানোর পূর্ব মুহূর্ত অবধি ব্যস্ততার মাঝে হারিয়ে যেতাম। নিজের দৈনন্দিন কাজ, কলেজ, টিউশন, আড্ডা এই সবের মধ্যেই সময় চলে যেতো। এখন যেনো এক নতুন জীবন। সকালে ঘুম থেকে উঠে মোবাইল হাতে নিই, এর পর অনেক টা সময় যাওয়া পর ফ্রেশ হয়ে সকালের খাবার শেষ করে আবার মোবাইল। মোবাইলের চার্জ শেষ হলে ল্যাপটপ।
দিনের অধিকাংশ সময় টুকু ইলেকট্রনিকস ডিভাইসের পিছেই ব্যয় হয়ে যায়। সময় কাটানো যখন কঠিন হয়ে উঠে তখন বাড়ি থেকে বের হয়ে মুক্ত পরিবেশে কিছু সময়ের জন্য ঘুরে আসি।আর পড়াশুনার ব্যাপার টার কথা না বললেই ভাল হয়। কিছু জিনিস গোপনে থাকা ভাল। এই ভাবেই জীবন চলছে। তবে আমাদের জীবনটা কে যেনো ইলেকট্রনিকস ডিভাইস গুলো নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে নিয়েছে। যাই হোক সবার জীবন নিজেদের মতো করে ভাল কাটুক।
খাদিজাতুল কোবরা, প্রাণীবিদ্যা বিভাগ ৩য় বর্ষ, নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ, কুমিল্লা।
∇
করোনাকালীন সময়ে এক প্রকার অবসরই বসে আছি। অবসর সময়টাতে আম্মুকে টুকটাক সাহায্য করছি। যেহেতু আমি এক মেয়ে তাই কাজ করা হতো না। এখন করি। আর নামাজের পর কুরআন তেলওয়াত করতে এখন ভালোই লাগে। কোনো তাড়া থাকে না আগের মতো। আর কিছু সময় আম্মুর সাথে গল্প করতে করতেই চলে যায়। এরপর ফেবুতে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট পড়ি, ভিডিও দেখি। আর ভাল্লাগলে খাতাটা খুলে বসে হাতের লেখা চর্চা করি। আর পাশাপাশি সেলাইটা আম্মুর কাছে শিখার চেষ্টা করছি। এভাবেই কেটে যাচ্ছে আমার দিন।
গোলাম রাব্বানী ইমন, ইংরেজী সাহিত্য বিভাগ ২য় বর্ষ। নোয়াখালী সরকারি কলেজ।
∇
যখন যে পরিস্থিতিতেই থাকি না কে ঈশ্বরের উপর ভরসা করেই বলি আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। এই অবসরে ছোট্ট ব্যাবসায়ে জড়িয়েছি,অনেক শিখেছি,বড়ো শিক্ষাটা হলো এ-ই মুহূর্ত থেকেই সবার উচিত কাজে নেমে পড়া, ব্যাবসা, চাকুরী, যার যেটা। তবে বেকার থাকা যাবে না।
মোঃ- আমান উল্লাহ, দর্শন বিভাগ ১ম বর্ষ, নোয়াখালী সরকারি কলেজ।
∇
এই করোনার দিন গুলো তেমন ভালো কাটে না! কারন আমার ঘুরার অনেক শখ, কিন্ত আমি কোথাও ঘুরতে যেতে পারতেছি না।বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পারতেছি না অথচ যাদের সাথে একদিন আড্ডা না দিলে আমার রাতে ঘুম হতো না। আজ আনায়াসে ঐ সব আড্ডা এড়িয়ে চলতে হচ্ছে। মনের ইচ্ছা অনুযায়ী কিছু করতে পারছি না।সব কিছুর মধ্য একটা বাধা আছে। তবুও একাডেমিক একটু একটু পড়াশুনা হচ্ছে, তবে তার চেয়ো গল্প পড়া বেশ ভালো হচ্ছে।এসব মিলিয়ে বলতে গেলে আমার করোনা কাল কিছুটা ভালো যাচ্ছে না।
কামরুল ইসলাম খান, মনোবিজ্ঞান বিভাগ ৩য় বর্ষ, চট্রগ্রাম কলেজ।
∇
আল্লাহর প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ। এরকম একটি পরিস্থিতি মানুষ কে দেওয়ার জন্য! যদিও সবার জন্য এই কালটা অভিশাপের।
কিন্তু এই পরিস্থিতি কাটিয়ে যে বেঁচে আছে এবং নিজে কে পরিবর্ত করতে পেরেছে সেই প্রকৃত মানুষ। আমিও নিজ কে একটু পরিবর্তন করার চেষ্টা করলাম। আমলের দিক থেকে, পড়ালেখার দিক থেকে যে যে বিষয়ের লেকিং ছিলো তার পরিবর্তন করার, ব্যবহার, শ্রদ্ধাবোধ, অসহায় মানুষের পাশে আসা ইত্যাদি দিক থেকে নিজের মাঝে পরিবর্তন এবং অন্য রকম এক মানসিকতার ছোঁয়া পেলাম। সব কিছুর জন্য আল্লাহ কে ধন্যবাদ।