বশেমুরবিপ্রবি প্রতিবেদক: জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর মৌসুম হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ এই সময়ে বৃষ্টিপাতের কারণে স্বচ্ছ পানি তিন দিনের বেশি জমে থাকলে এডিস মশা প্রজননে সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিন্তু তিন দিন তো দূরের কথা সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পানি জমে থাকে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মেয়েদের হল সংলগ্ন এলাকা হতে শুরু করে পরিবহন গ্যারেজ, শিক্ষকদের ডরমিটরি,লাইব্রেরি চত্বর এলাকা সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের আশেপাশের এলাকায় পানি জমে গেছে । যার সঠিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় এডিস মশা তথা ডেঙ্গু আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
ইতিমধ্যে এই ডেঙ্গু আতঙ্কের জন্য অনেক শিক্ষক শিক্ষার্থীরা দায়ী করছেন জলাবদ্ধতা ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকাকে।
বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড.মোঃ শরাফত আলী বলেন, বসবাসের জন্য উপযুক্ত পরিবেশের জন্য আমাদের চারপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা থাকা দরকার। জলাবদ্ধতা নিরসন হলে ডেঙ্গুর উপদ্রব হবে না। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজ শুরু হয়েছে ।আশা করি সমস্যার সমাধান হবে।
শেখ রেহেনা হলের প্রভোস্ট মোঃ রোকনুজ্জামান বলেন, পানি জমে থাকা এলাকা চিহ্নিত করে কীটনাশক প্রয়োগ করা উচিত ।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট শামস আরা খান বলেন, গতকাল আমি হলে গিয়ে বিষয়টি দেখছি এবং হলে কর্মরত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বলেছি যে সকল এলাকায় পানি জমে থাকবে সেখানে যেন ব্লিচিং পাওডার প্রয়োগ করে পাশাপাশি হলের চারপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে বলেছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার এস এম এস্কান্দার আলী বলেন, রাস্তাঘাট মেরামত, ড্রেন নির্মাণ এগুলো তৃতীয় ধাপে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায়। তৃতীয় ধাপের কাজ শুরু হলে সমস্যার নিরসন হবে।