চৌধুরী মাসাবি, কুবিঃ কোন স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী না থাকায় অন্য দপ্তর থেকে ধার করা লোকবল দিয়েই চলছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের কাজ। ফলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রম।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসংযোগ দপ্তর নামে স্বতন্ত্র দপ্তর থাকলেও বিশেষজ্ঞ লোকবলহীনতায় প্রায়ই সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারেন না অন্য দপ্তর থেকে এসে কাজ করা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রথম থেকেই দপ্তরে ছয়টি পদ থাকলেও এসব পদের মধ্যে শুধু অফিস এসিস্ট্যান্ট পদে স্থায়ী ভাবে নিয়োগ আছে, বাকি পাঁচটি পদের মধ্যে, পাবলিক রিলেশন অফিসার ও ডাটা এসিস্ট্যান্ট পদে ভারপ্রাপ্ত , ইনফোরমেশন অপারেটর, কম্পিউটার অপারেটর, ফটোগ্রাফারের পদটি শূন্য রয়েছে।
কুবির সমসাময়িক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে খবর নিয়ে দেখা যায় তাদের জনসংযোগ দপ্তর বা তথ্য শাখা সুসজ্জিত।
জনসংযোগ দপ্তরের গুরুপূর্ণ পদ জনসংযোগ কর্মকর্তা। প্রথম থেকে কোন জনসংযোগ কর্মকর্তা না থাকলেও ২০১০ সালে নিয়োগ দেওয়া হয় দলিলুর রহমানকে। ২০১৩ সালে জনসংযোগ দপ্তর ছেড়ে রেজিস্ট্রার দপ্তরে ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে সার্কুলার হলে তিনি সেখানে আবেদন করেন এবং নিয়োগ পান। এরপর থেকে গত ৮ বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে জনসংযোগ দপ্তরের এ পদটি।
জনসংযোগ কর্মকর্তার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ কোনো ধরনের অভিজ্ঞতা ছাড়া ২০১৪ সাল থেকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন উপাচার্য দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার এমদাদুল হক। দুটি দপ্তর একসাথে চালাতে তাকে হিমসিম খেতে হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আর কতটুকু করবো। আমার একা ভিসি দপ্তর ও জনসংযোগ দপ্তর দুটো দেখা লাগে। তাই কোন রকম ভাবে কাজ চালাচ্ছি। রেজিস্ট্রার স্যার ও ভিসি স্যারকে অনেকবার বলেছি কিন্তু উনারা নিয়োগ দিবেন বলে বলে আর কোন কিছুই করেন না।’
২০১৭ সালে জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রথম বার এবং ২০১৯ সালে দ্বিতীয় বার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও এ পদে এখনো কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
নিয়োগ না দেওয়ার কারন জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আবু তাহের বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনের ভিতরে এবং বাহির থেকে বিভিন্ন চাপের কারণ উল্লেখ করে বলেন, সার্কুলার দুইবার হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকবল নিয়োগ দেওয়া নির্ভর করে উপাচার্যের উপর। সাবেক উপাচার্যকে অনেকবার বললেও তিনি কেনো দেননি তিনি বলতে পারেন আমি অবগত নয়।
পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি আরো জানান, নতুন উপচার্য মহোদয়কে আমি লোকবল সংকটের বিষয়টি বলবো তিনি তার সুযোগ সুবিধা মতো নিয়োগ দেবেন।
জনসংযোগ দপ্তরের লোকবল সংকট নিরসনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সাথে কথা বললে নিয়োগের তিন মাসে তিনি এ বিষয়ে প্রথম শুনেছেন বলে উল্লেখ করে বলেন, আমি আজকে প্রথম শুনলাম জনসংযোগ দপ্তরে পর্যাপ্ত লোকবল নাই। তবে যেহেতু অবগত হয়েছি আমাদের নতুন উপাচার্য স্যারের সাথে কথা বলে আমরা নিয়োগ দেওয়া হবে।’
জনসংযোগ দপ্তরসহ অন্যান্য দপ্তরে জনবল নিয়োগের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে উল্লেখ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.এফ.এম আব্দুল মঈন বলেন, আমরা একটা ডাটাবেইজ তৈরি করছি কোথায় কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই এবং রেজিস্ট্রার সাহেবের সাথে বসে আলাপ করে আমরা নিয়োগের সার্কুলার দিবো।