‘দুশ্চরিত্রা’ বলার সাহস নুর কোথায় পাচ্ছে : আফরোজ

‘দুশ্চরিত্রা’ বলার সাহস নুর কোথায় পাচ্ছে : আফরোজ

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বাদীর অনশনে সংহতি জানিয়ে সেখানে এক সমাবেশে ফেসবুক লাইভে এসে ধর্ষণ মামলার বাদীকে ‘দুশ্চরিত্রা’ বলায় ডাকসুর সদ্য সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। সেখান থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নুর এবং ওই মামলার আসামি আরও তিনজনকে গ্রেফতারের আল্টিমেটামও দেয়া হয়েছে।

এ সময় আইনজীবী তুরিন আফরোজ বলেন, আমরা সবাই যেখানে মেয়েটির পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করছি, সেখানে নুর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসে তাকে দুশ্চরিত্রা বলছে। এই সাহস তিনি কোথায় পাচ্ছেন?

২০০১ সালে পরবর্তী সহিংসতার শিকার পূর্ণিমা শীল রানি বলেন, আমি নুরের উদ্দেশে বলতে চাই, সে যেন আমার সামনে আসে যদি সাহস থাকে। আমি উপযুক্ত বিচার করে দেব।

গণজাগরণ মঞ্চের নগেন্দু নির্মল সাহা জয় বলেন, নারীকে চরিত্রহীন বলে ব্যারিস্টার মাইনুল হোসেনকে যদি জেলে যেতে হয়, তাহলে একই অপরাধে নুরুকে গ্রেফতার নয় কেন?

যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থী জোটের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান শিবলী বলেন, সমাজে ভিক্টিম ব্লেইমিং এর যে চর্চা, সেটাই নুর করেছেন, যা খুবই আপত্তিকর।

গত বৃহস্পতিবার রাতে থেকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেন নেই ছাত্রী। এরপর তিন মামলার দুই আসামি সাইফুল ইসলাম ও নাজমুল হুদা গ্রেফতার হলেও তিনি বলছেন, হাসান আল মামুন, নুরুল হক নুরসহ সব আসামিকে গ্রেফতার ধরতে হবে। নইলে তিনি অনশন ভাঙবেন না।

তুরিন বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নুরকে ও বাকি আসামিদের গ্রেফতার না করলে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।

অনশনকারীর পাশে থাকার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, একজন নারী হিসেবে আমি বলতে চাই সে (বাদী) আমার মেয়ে। আমি আমার মেয়ের জন্য রাজপথে নেমেছি। আমাদের যে সিস্টেম সেখানে যে দুর্নীতি থাকুক, সেটাকে কাটিয়ে উঠে মেয়েটি সুবিচার পাক, এটাই প্রত্যাশা।

গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লালবাগ থানায় সাধারণ ছাত্র সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন অনশনকারী তরুণী। অভিযোগ করা হয়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

আর নুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মীমাংসার আশ্বাস দিয়েও কথা রাখেননি। পরে চুপ হয়ে যেতে বলেন। কথা না শুনলে অনলাইনে অপপ্রচার চালানোর হুমকি দেন। পরে ছয় আসামির বিরুদ্ধে ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর আরও দুটি মামলা করেন বাদী।

এদিকে দ্বিতীয় মামলায় বলা হয়, তাকে সহযোগিতার কথা বলে চাঁদপুর নিয়ে যান সোহাগ। ফেরার পথে ধর্ষণ করা হয়। তৃতীয় মামলায় অভিযোগ আনা হয় সাইবার বুলিংয়ের। মামলার ১৭ দিন পরও কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়াতে গত বৃহস্পতিবার রাতে থেকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেন নেই ছাত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *