নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়রের নির্যাতনের স্বীকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সঙ্গীত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাগর চন্দ্র দে।
শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়টির অগ্নিবীণা হলের ২০৪ নং কক্ষে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে জানান আহত শিক্ষার্থী। নির্যাতনের স্বীকার সাগর চন্দ্র দে’র বক্তব্য অনুযায়ী, শনিবার বিকেলে রুমের রোলুং চেয়ারে জোর করে বসিয়ে ৫০-৬০ বার জোরে ঘুরাচ্ছিলো। ১০/১২ নিষেধ করার পরেও সাগরের কথা না শুনে চেয়ার ঘুরিয়ে ফেলে দেয় চারুকলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৌমিক জাহান।
চেয়ার থেকে পড়ে গিয়ে দুটি দাত ভেঙ্গে যাবার পর মাথা ফুলে গিয়ে রক্তক্ষরণের প্রায় ২০ মিনিট রুমেই থাকলেও তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি অভিযুক্ত শিক্ষার্থী। এমনকি কাউকে যেনো ফোন না করতে পারেন সে জন্যে নির্যাতনের স্বীকার হওয়া শিক্ষার্থীর থেকে তার ফোন ছিনিয়েও নেয়া হয়। পরে তিনি লুকিয়ে তার সিনিয়র ভাইকে কল দিয়ে বিষয়টি জানান। এসময় তিনি সিনিয়রকে তার একটা ছবি দেন এবং বলেন ভাই আমি শেষ ২০৪ এ আগ্নিবীণা হল।
বিকাল ৪টায় ত্রিশাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় আহত সাগরকে।
আরও পড়ুন: হিন্দি গান বাজিয়ে অফিস করেন বশেমুরবিপ্রবি কর্মকর্তা
সাগরকে দেখতে হাসপাতালে এসে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হলটির প্রভোস্ট কল্যাণাংশু নাহা। এছাড়াও ঘটনাস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মোহাম্মদ ইরফান আজিজ, ছাত্র পরামর্শক তপন কুমার সরকার।
ঘটনার বিষয়ে হলটির প্রভোস্ট কল্যাণাংশু নাহা বলেন, অভিযোগ আসলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।আগে আমরা রোগীকে সুস্থ করে তুলতে চাই।
এদিকে নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অগ্নিবীণা হল প্রশাসন। ইরফান আজিজকে আহবায়ক করে এব হীড়ক মুশফিককে সদস্য সচিব ও মোঃ আলিমকে সদস্য করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতেও নির্দেশ দিয়েছে হল প্রভোস্ট কল্যাণাংশু নাহা
এর আগে গেলো ২৮ ফেব্রুয়ারী বঙ্গবন্ধু হলে ৩২৪ নং কক্ষে ছাত্রলীগ না করার কারণে নির্যাতনের স্বীকার হোন ওয়ালিদ নিহাদ। সেই ঘটনায় ৪জনকে সাময়িক ভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এবং কেনো স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করা হবে না তার উত্তর জানাতে ১৫ দিনের সময় বেধে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।