কুবি প্রতিনিধি: পাঁচ দফা দাবি আদায়ে মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৮ মে) সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়ে এ মানববন্ধন করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ক্যান্টিন ব্যবস্থা চালু, খাদ্যে ভর্তুকি প্রদান, ৭ দিনের মধ্যে পানির সমস্যা সমাধান ও নতুন আবাসিক হলে ছাত্রী উঠানোর দাবি তুলে মানববন্ধনে। এছাড়াও মানববন্ধন শেষে উপাচার্য বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করতে করলে উপাচার্য তাদের স্বারকলিপি গ্রহণ করেননি।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী কাজী ফাইজা মেহজাবিন অভিযোগ করেন, একটি বেড দুজনকে শেয়ার করে থাকতে হচ্ছে। আবার অনেক কক্ষে ১৫-২০ জনের ও থাকতে হয়। এরপরও কেন শেখ হাসিনা হলের কাজ শেষ হচ্ছে না প্রশাসনের কাছে জবাব চাই।
মেহজাবিন আরও বলেন, পানির সমস্যার কারনে অনেকে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। ক্যান্টিন সিস্টেম তো বাদই দিলাম। মিল সিস্টেমেরও নেই ঠিক। মাস ফুরানোর আগেই মিল অফ হয়ে যাচ্ছে। যদি ভর্তুকির ব্যাবস্থা করা হত তাহলে শিক্ষার্থীদের কষ্টটা অনেক কমে যেত।
নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অর্পণা নাথ বলেন, প্রশাসন আমাদেরকে সর্বশেষ ৩০ এপ্রিল নতুন হল শিক্ষার্থী তুলবে বলেছে, কিন্তু আমাদের এখনও এর কোনো সমাধান আসেনি। এছাড়া আমরা বিভিন্ন দাবিতে উপাচার্য বরাবর একটা স্বারকলিপি দিতে চেয়েছি, কিন্তু সেটা তিনি গ্রহণ করেননি।
স্মারকলিপি গ্রহণ না করার বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন বলেন, ওরা হলে ওঠতে চায় আমিও তুলতে চাই। ওদের সাথে আমার কোন শত্রুতা নাই। স্বারকলিপি গ্রহণ করার তো কিছুই নাই, ওদের যেসব দাবি সেগুলো শুনেছি। আমরা এই কাজ গুলো করতেছি। আশা করি খুব দ্রুত কাজ শেষ হয়ে যাবে।