সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন

নভেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা, সিট প্ল্যান চূড়ান্ত

  • আপডেট টাইম শুক্রবার, ২ অক্টোবর, ২০২০, ১০.২৯ এএম
ফাইল ফটো

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার।

তবে পূর্ণ নম্বর কমিয়ে সব বিষয়েই পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা আছে। আর দিনে কেবলমাত্র একটি বিষয়ে পরীক্ষা রাখার চিন্তা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা শেষে বোর্ডগুলোকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ দিকে, এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়ন করা হলে এই ব্যাচ ভবিষ্যতে প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। তাই পরীক্ষাই নেওয়া হবে। বিস্তারিত পরিকল্পনা আগামী সোম-মঙ্গলবারের (৫-৬ অক্টোবর) মধ্যে প্রকাশ করা হবে।

অন্যদিকে, সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এইচএসসি পরীক্ষার ব্যাপারে দুটি বিকল্প চিন্তা করা হয়েছে। একটি হচ্ছে, প্রতি বিষয়ে ৫০ শতাংশ নম্বর কমানো হবে। সে ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে ব্যবহারিক নেই সেগুলোয় এমসিকিউ ও সৃজনশীল উভয় অংশের পূর্ণমান থেকে ৫০ শতাংশ করে কমানো হবে। আর যেগুলোয় ব্যবহারিক আছে সেগুলোয় ব্যবহারিক নম্বর ঠিক রেখে অবশিষ্ট অংশের (এমসিকিউ ও সৃজনশীল) নম্বর সমন্বয় করে পূর্ণ নম্বর ৫০ শতাংশ কমানো হবে।

অপর প্রস্তাবে শুধু এমসিকিউ কিংবা সৃজনশীল অংশের যে কোনো একটির পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি আছে। এ ক্ষেত্রেও ব্যবহারিকের নম্বর ঠিক রেখে বাকি অংশের নম্বর সমন্বয়ের চিন্তা আছে। আর করোনা পরিস্থিতির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নিজ নিজ কলেজকে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাবও আছে। এখন মন্ত্রণালয় যে প্রস্তাব গ্রহণ করবে, সেটি বাস্তবায়ন করবে বোর্ডগুলো। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষার সময় কমানোর বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

সূত্র মতে, মন্ত্রণালয় থেকে তারিখ ঘোষণার পর রুটিন তৈরি করা হবে। তবে গত ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বোর্ড চেয়ারম্যানদের বৈঠকে ৮ নভেম্বরের পর পরীক্ষা শুরুর ব্যাপারে মতামত দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, রুটিন তৈরির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি সামনে রেখে নতুনত্ব আনার চিন্তা আছে। সেটি হচ্ছে, দৈনিক একটির বেশি পরীক্ষা না রাখা এবং প্রতিদিনই পরীক্ষা। স্বাভাবিক সময়ে মূল বিষয়গুলোর পরীক্ষার পর বিভাগভিত্তিক সকালে ও বিকালে দুটি করে পরীক্ষা রাখা হতো। ফলে সকালে বিজ্ঞানের পরীক্ষা হলে বিকালে মানবিক বা ব্যবসায় শিক্ষার পরীক্ষা নেয়া হতো। একটি পরীক্ষার পর কেন্দ্র পরিষ্কারের বিষয়টি সামনে রেখে দৈনিক একটি রাখার চিন্তা করা হচ্ছে। তবে ধর্মীয় ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পরীক্ষা রাখা হবে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, পরীক্ষার কেন্দ্র ও সিট প্ল্যান ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এক বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থীদের ‘জেড’ আকারে বসানো হবে। সেই হিসেবে প্রথম বেঞ্চে এক পাশে একজন বসালে দ্বিতীয় বেঞ্চে অপর পাশে বসানো হবে। আর তৃতীয় বেঞ্চে বসানো হবে দ্বিতীয় বেঞ্চের বিপরীত পাশে। এই প্রক্রিয়ায় আসন ব্যবস্থা করতে গিয়ে কেন্দ্র সংখ্যা ১০-২০ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি কেন্দ্রে গড়ে ৬৫০ জন করে পরীক্ষার্থী আছে।

আরেকজন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, করোনা শুরুর আগে সব সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্র ছাপানো শেষ করে মাঠপর্যায়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মার্চের শেষ সপ্তাহে মাদ্রাসা বোর্ডের প্রশ্নপত্র ছাপানো শেষ হয়। এ সপ্তাহে সেটিও পাঠানো হয়েছে। ছাপানো এসব প্রশ্নেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। যদি সরকার আংশিক নম্বরে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে সকাল বেলা কেন্দ্র সচিবদের নির্দেশনা জানিয়ে দেওয়া হবে। সে অনুযায়ী তারা শিক্ষার্থীদের জানাবেন।

এ দিকে, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সাব-কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে বোর্ডগুলো সার্বিকভাবে প্রস্তুত। শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ মঙ্গলের বিষয়টি সামনে রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলেই কাজ শুরু করব।

The Campus Today YouTube Channel

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazar_creativenews_II7
All rights reserved © 2019-20 The Campus Today