নাম একই হলেও অর্জনের পথ তাদের ভিন্ন
সানজিদ আরা সরকার বিথী, ঢাবি
সোনার কাঠি বনাম কাল যাদু; দুইজন শাহেদ; একজন ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে পথচালকদের পিষে নিজের রিজেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করাতেন। দেশ বিদেশের স্বনামধন্য মানুষদের সাথে সেলফি তুলে বেড়াতেন।
এই করোনা মহামারীর সময় ও ভূয়া রিপোর্ট দিয়ে বেড়াতেন; সোনার বাংলাকে নিজের অপরাধের সম্রাজ্য বানিয়ে হয়েছেন কুকর্মের বাদশা।দেশটাকে অপরাধের রসাতলে ঢেকে দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি, সম্মান নষ্ট করতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি।
আরেকজন শাহেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল বিভাগের (সিএসই)ছাত্র; সম্প্রতি চাকরি পেয়েছেন গুগলে। নিজের দেশকে বিশ্বের বুকে সগৌরবে মাথা তুলে দাঁড়ানোর জন্য বয়ে এনেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা গুগলের মত প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাওয়ার মত সম্মান। নিজের অক্লান্ত পরিশ্রমে শাহেদ পেরেছেন নিজের দেশকে আরো একধাপ এগিয়ে দিতে; পৌঁছে দিয়েছেন এক অনন্য মাত্রায়।
আমরা এই দুইজন শাহেদের কথা জানি; মানসিকতা ভিন্ন হওয়ার কারনে একজন শাহেদ বিদ্বান, আরেকজন শাহেদ পশুর চেয়েও অধম। এমন হাজারো শাহেদ দেশের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে আছে।
কোনো শাহেদ নিজের স্বার্থে কালযাদু দিয়ে অপরাধের সম্রাজ্য পরিনত করছেন বাংলাকে আবার কোনো শাহেদ নিজের পরিশ্রম ও মেধাকে সোনার কাঠি বানিয়ে দেশের জন্য বয়ে আনছেন গৌরব এবং সম্মান।
আমাদের উচিত বিদ্বান শাহেদকে আবিষ্কার করে দুর্জন শাহেদকে পরিত্যাজ্য করা যাতে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার মাটি নরপিশাচের ছায়ায় আর কলঙ্কিত না হয়।