উন্নত কিংবা অনুন্নত দেশে, সমতল কিংবা পাহাড়ে, যুদ্ধ ক্ষেত্রে কিংবা শান্ত জনপদে, দিনে কিংবা ভরদুপুরে, মধ্যরাতে কিংবা ভোর বেলায়, নার্সদের উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন । নিজেদের সীমাহীন আত্মত্যাগে অসুস্থকে সুস্থ করে তোলা ।
অসুস্থ মানুষকে সেবা করার যে মহান ব্রত নিয়ে নার্সরা এ পেশায় পা বাড়িয়েছিলো, রোগীকে সুস্থ করার মাধ্যমেই তাঁরা খুঁজে পায় আত্ন-তৃপ্তি।
আধুনিক নার্সিংয়ের প্রবর্তক ‘লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প’ খ্যাত ‘ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলে’র ২০০তম জন্মদিন আজ । তাঁর প্রতি সম্মান জানাতে প্রতিবছর ১২মে বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালন করা হয় ”বিশ্ব নার্স দিবস” হিসেবে । “ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল”এর জন্ম বার্ষিকীতে এই দিনটিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।
এ বছর এ দিনটি একটু বিশেষ ভাবে পালন করা হচ্ছে যেহেতু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ২০২০ সালকে ঘোষণা করেছে বিশ্ব নার্স ও মিডওয়াইফ বর্ষ হিসেবে। কারণ এ বছর ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল এর ২০০তম জন্ম বার্ষিকী।
এ দিবসকে উদ্দেশ্য করে ICN ( International Council of Nurses’ ) বিভিন্ন কর্ম পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়, ” Nurses’ : A Voice To Lead – Nursing The World To Health ” যা কিনা স্বাস্থ্যখাতে নার্সদের কেন্দ্রীয় চরিত্র সাধারণ মানুষের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে । সেই সাথে আমাদেরকে এই কথা ও মনে করিয়ে দিচ্ছে যে নার্স ছাড়া যেকোন দেশের তথা বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অচল।
করোনার কারণে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়টা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক ও যৌক্তিকতার প্রমাণ রেখেছে। যা কিনা নার্সদেরকে আরও বেশি উৎসাহিত করবে তাদের কাজের প্রতি। সেই সাথে নার্স ও নার্সিং প্রফেশনের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা, শ্রদ্ধাবোধ ও বিশ্বাস কে বাড়িয়ে দিবে।
আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবসে বাংলাদেশের সহ পৃথিবীর সকল নার্সদের শুভেচ্ছা জানাই। এই দিনটির তাৎপর্য নার্সদের আরও গতিশীল করবে এবং করোনা মোকাবিলায় আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। করোনা মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে যে সকল নার্স ও ডাক্তার মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
লেখকঃ শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।