নিউইয়র্কের সর্বোচ্চ সম্মাননা পেলেন খুদে বিজ্ঞানী সুবর্ণ আইজ্যাক
ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক
নিউইয়র্কের সর্বোচ্চ সম্মাননা পেলেন বিশ্বের সবচেয়ে খুদে বিজ্ঞানী । বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী (সাড়ে ৮ বছর) অধ্যাপক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সুবর্ণ আইজ্যাক বারীকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সম্মান জানানো হয়েছে । এর আগে ২০১৪ সালে নিউইয়র্ক সিটি কলেজের প্রেসিডেন্ট লিসা কোইকো সুবর্ণকে ‘আমাদের সময়ের আইনস্টাইন’ উপাধি দেন।
গত ১৭ অক্টোবর রাজ্যের গভর্নরের পক্ষ থেকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পাওয়া এই খুদে বিজ্ঞানীর কাজের প্রতি সম্মান জানিয়ে একটি স্বীকৃতিপত্র দেওয়া হয়। সবচেয়ে কম বয়সী অধ্যাপক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সুবর্ণর অভিভাবকরা এ তথ্য জানান।
পরিবার জানায়, নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমো তার প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে এ স্বীকৃতিপত্র সুবর্ণর বাড়িতে পৌঁছে দেন। তারা তাকে গভর্নরের সঙ্গে দেখা করারও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
সুবর্ণর উদ্দেশে স্বীকৃতিপত্রে গভর্নর লিখেছেন, ‘আপনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি খুব অল্প বয়সেই বিশ্বে ইতিবাচক পার্থক্য তৈরি করেছেন- গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের মাধ্যমে, সন্ত্রাসবিরোধী ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে, বইয়ের মাধ্যমে! আপনি বিশ্বজুড়ে চাইল্ড প্রডিজি হিসেবে পরিচিত।’
তিনি লেখেন, ‘গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানে আপনার অর্জন প্রশংসার যোগ্য। একজন বিজ্ঞানী হিসেবে বিশ্বের বর্তমান ঘটনা সম্পর্কে আপনার বিস্ময়কর সচেতনতা এবং বিশ্বশান্তি প্রচারের জন্য সেই সচেতনতা ব্যবহার করার ইচ্ছা আমাকে মুগ্ধ করে। আপনার কাজের জন্য নিউইয়র্কের পক্ষে আপনাকে সম্মানিত করতে পেরে আমি গর্বিত।’
সুবর্ণ আইজ্যাক বারীর জন্ম ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল নিউইয়র্কের একটি বাঙালি পরিবারে। খুব অল্প বয়সেই বিশ্বে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে পিএইচডি স্তরের গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের সমস্যাগুলো সমাধান করতে সক্ষম হওয়ায়।
এদিকে ২০১৮ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাকে বিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী তাকে দিল্লিতে ‘গ্লোবাল চাইল্ড প্রোডিজি অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছেন। মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় তাকে পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে ভিজিটিং অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।