নোবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

নোবিপ্রবি টুডে: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ছাত্রলীগের সংর্ঘষে ছাত্রাবাসে ভাঙচুর ও শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় ৩৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোমিনুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ১৬ ছাত্রকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার, সাতজনকে ২০ হাজার টাকা করে, ১২ জনকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয় এবং দুইজনকে সতর্ক করা হয়

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলো- রবিউল হক চৌধুরী (কৃষি), মো. জহিরুল ইসলাম(ব্যবসায় প্রশাসন) , মো. আবদুর রহিম সিয়াম(কৃষি), জাহিদ হাসান শুভ (ইএসডিএম),কাজী আশরাফুল হক লিসান (ইএসডিএম), ইয়াসিন আরাফাত তারেক (ইএসডিএম) , মো. শফিউর রহমান অন্তর (বিজিই), মো. সাইফুল্লাহ সনি (সিএসটিই), অর্নব সরকার (সমাজ কর্ম), মো. তৌহিদুল ইসলাম (কৃষি), মো. আল ইমরান (আইসিই), আবদুল্লাহ আল মাসুদ (ফলিত গণিত), ওমর ফারুক(কৃষি), মো. মিরাজ মাহতাব(ইংরেজি),আবদুল্লাহ আল নোমান(অর্থনীতি),কে এস এম সায়েম(মাইক্রোবায়োলজী)

এছাড়া নেতৃত্বদাতা, সংগঠক ও হুকুমদাতা হিসেবে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান বিপ্লবসহ সাতজনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তারা হলেন ২০১৪-১৫ বর্ষের মো. মুহাইমিনুল ইসলাম নুহাশ (ফার্মেসি), মাহবুবুর রহমান চৌধুরী (ব্যবসায় প্রশাসন), ২০১৫-১৬ বর্ষের জাহিদ হাসান শুভ (ইএসডিএম), শাফকাত আবির (ইংরেজি), ২০১৪-১৫ বর্ষের আতাউল করিম রনি (কৃষি) ও ২০১৭-১৮ বর্ষের আবদুল্লাহ আল নোমান (অর্থনীতি)।

এছাড়া ১২ জনকে পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। তারা হলেন ২০১৬-১৭ বর্ষের মো. আবদুল রহমান শিহাব (মাইক্রোবায়োলজি), মো. আল আমিন (কৃষি), আক্তারুজ্জামান জিসান (বিএলডব্লিউএস), ২০১৫-১৬ বর্ষের কাজী মাহমুদুর রহমান রাহিম (মাইক্রোবায়োলজি), মো. জুবায়ের আহমেদ জনি (বিজিই), কামরুল হাসান (এফটিএনএস), আরফানুল হক (সিএসটিই), ২০১৮-১৯ বর্ষের আবদুল্লাহ আল মাহদি (কৃষি), ২০১৮-১৯ বর্ষের মো. শাকিল মোস্তফা মানিক (অর্থনীতি), ২০১৭-১৮ বর্ষের মো. এহতেশামুল হক শুভ (টিএইচএম), ইয়াছিন আরাফাত (বিএলডব্লিউএস) ও ২০১৮-১৯ বর্ষের মো. আলি (ইংরেজি)।

উল্লেখ্য, গত ৩১ অগাস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আব্দুস সালাম হলে ছাত্রলীগের সভাপতি রবিন ও সাধারণ সম্পাদক ধ্রুব এর গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় ভাঙচুর চালিয়ে ছাত্রাবাসের ব্যাপক ক্ষতি করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট ড. ফিরোজ আহমদের উপরও হামলা হয়।

পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল অর্নির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে এবং ২ সেপ্টেম্বর ওই হলে অভিযান চালিয়ে বিপুল দেশি অস্ত্র উদ্ধার করে।



সংবাদ প্রেরক দ্য ক্যাম্পাস টুডের নোবিপ্রবি প্রতিনিধি মাইনুদ্দিন পাঠান।



দ্যা ক্যাম্পাস টুডে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

Leave a Comment