মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ১১:২০ পূর্বাহ্ন

পণ্য পরিবর্তন কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক লাঞ্ছিতের অভিযোগ

  • আপডেট টাইম শনিবার, ৭ মার্চ, ২০২০, ১২.৩৭ পিএম
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক লাঞ্ছিত

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি


লোটো শো-রুমে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষককে পণ্য পরিবর্তন কেন্দ্র করে অপমানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নোয়াখালীর মাইজদী শহর সুপার মার্কেটে লোটো কোম্পানির মাইজদী শাখায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজম্যান্ট (টিএইচএম) বিভাগের শিক্ষক মো জামসেদুল ইসলাম।

মো জামসেদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে ওই দোকান থেকে তিনি একটি টি-শার্ট ক্রয় করেন। এসময় বড় সাইজকে ছোট বলে বিক্রি করলে বাসায় গিয়ে পণ্যটিতে অমিল পাওয়া যায়। একদিন পর শুক্রবার (৭ মার্চ) সকাল ১১টায় পণ্যটি পরিবর্তন করতে মার্কেটে যান তিনি।

শুক্রবার (৭ মার্চ)রাত ৮.৩০ দিকে টি-শার্ট টি নিয়ে লোটো কোম্পানির শো-রুম সুপার মার্কেট এ সাইজের অসঙ্গতির কথা বলে, সেটি কে ফেরত নিতে বলেন কিন্তু দোকানের ম্যানেজার সেটি ফেরত নিতে অসঙ্গতি জানায় এবং নানা অজুহাতে তার বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন, বারবার বুঝিয়ে বলার পরেও তিনি রাজি হননি এবং শিক্ষক হিসাবে বলেন, তিনি কাউকে পরোয়া করেন না এমনকি বড়-বড় রাজনৈতিক ব্যক্তির পরিচয় দিয়ে তিনি শিক্ষককে বারবার অপমান করতে থাকেন।

শিক্ষকের সাথে অসদাচরণের ব্যাপারে জানতে পেরে কয়েকজন শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার রাত ৮ টায় কোম্পানির উক্ত শাখায় যায়। এসময়ও অভিযুক্তদের আচরণের বিশেষ কোন পরিবর্তন ঘটেনি। পূর্বের মত বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তখনও তাদের বিদ্রূপ অব্যাহত থাকে। এবং নানা ধরণের ক্ষমতা দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে অপমান-সুলভ আচরণ করে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান অনিল জানায়, ম্যানেজার শিক্ষার্থীর সম্মুখেই শিক্ষকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে থাকে। এমনকি ‘এমনি-মন্ত্রী পকেটে নিয়ে ঘুরি’— এমন মন্তব্যও করেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীর। পরবর্তীতে আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী উপস্থিত হলে ভুক্তভোগী শিক্ষক সবাইকে বিশৃঙ্খলা না করার নির্দেশ দেন এবং স্থান ত্যাগ করে চলে আসেন।

অভিযুক্ত লোটো শো-রুমের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে জিজ্ঞেস করা হলে ঘটনা অস্বীকার করে তিনি জানান, শিক্ষক তার ক্রয়-কৃত পণ্যটি আগের দিন গায়ে দিয়ে নিয়ে যান এবং পরের দিন গায়ে দিয়েই পরিবর্তন করতে নিয়ে আসেন। কোম্পানির নিয়মানুযায়ী এরিয়া ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবহৃত পণ্য পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় পরিবর্তন করা যায়নি। এবং এসময় শিক্ষকের সাথে কোন ধরণের অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়নি।

হেনস্থার বিষয়ে অস্বীকার করে কুমিল্লা জোনের এরিয়া ম্যানেজার মাহবুব খলিল বলেন, শিক্ষকের সামনেই শাখা ম্যানেজার আমার সাথে যোগাযোগ করে। ব্যবহৃত পণ্য পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় পণ্য পরিবর্তন করা হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপার মার্কেটের সভাপতি বদিউল আলম বিষয়টি অবগত হয়েছেন বলে জানান। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। পরেরদিন মার্কেট খোলা হলে তদন্ত-পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মার্কেট সভাপতি।

The Campus Today YouTube Channel

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazar_creativenews_II7
All rights reserved © 2019-20 The Campus Today