আবু হাসনাত তুহিন, পবিপ্রবি প্রতিনিধি: দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(পবিপ্রবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ‘মেরিন ফিশারিজ ও ওশানোগ্রাফি’ বিভাগ জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ‘বিশ্ব সমুদ্র দিবসটি’ পালন করেছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘যৌথ কর্মে সমুদ্র পাবে পুনরুজ্জীবন’। দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো সাগর-মহাসাগর সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বাড়িয়ে তোলা।
উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সম্মানিত ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ এ.বি. সিদ্দিক, বিভিন্ন অনুষদের সম্মানিত ডিনবৃন্দ, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সকল বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ এবং অন্যান্য শিক্ষকসহ সকল ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত তার বক্তব্যে সমুদ্রের টেকসই ব্যবহার এবং সুনীল অর্থনীতির অপার সম্ভাবনার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এছাড়া তিনি কুয়াকাটায় মেরিন রিসার্চ ইনস্টিটিউট দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে জানান।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ এ.বি. সিদ্দিক বলেন, সমুদ্রের সাথে জড়িয়ে রয়েছে ব্লু ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতির বিপুল সম্ভাবনা। আগামী দিনে সাগর অর্থনীতি হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল শক্তি।অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন ‘মেরিন ফিশারিজ ও ওশানোগ্রাফি’ বিভাগ এর সহকারি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল হাসান।
বাংলাদেশে ২০১৪ সাল থেকে দিবসটি কেন্দ্র করে নানা অংশগ্রহণমূলক উদ্যোগ নিয়ে আসছে সামুদ্রিক পরিবেশ ও অর্থনীতি বিষয়ক ‘সেভ আওয়ার সি’।১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিও’তে প্রকৃতি ও উন্নয়ন নিয়ে একটি কনফারেন্স হয়। তারপর থেকে প্রতি বছর নানা দেশে পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব সমুদ্র দিবস। ২০০৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ঠিক করে ৮ জুন দিনটি বিশ্ব সমুদ্র দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেবে তারা।
আরও পড়ুনঃঅফিস না করে আম বিক্রি করছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রশিক্ষক
দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো সাগর-মহাসাগর সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বাড়িয়ে তোলা। সাগর- মহাসাগরকে বলা হয় পৃথিবীর ফুসফুস। আমাদের অক্সিজেনের সবচেয়ে বড় জোগানদাতা হলো এসব সাগর আর মহাসাগর।সমুদ্রের এই অবদান, আবেদন, প্রয়োজনীয়তা আর উপকারীতাকে স্বতন্ত্রভাবে বিশ্বের সবার সামনে তুলে ধরতে প্রতি বছর ৮ জুন পালন করা হয় বিশ্ব সমুদ্র দিবস।