চৌধুরী মাসাবি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ময়লা-আবর্জনা ফেলার সুনির্দিষ্ট কোনো স্থান এবং কোন প্রকার বর্জ্যব্যবস্থাপনা না থাকায় দিনদিন নষ্ট হচ্ছে ক্যাম্পাসের পরিবেশ। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকির আশংকা করছেন শিক্ষার্থীরা।
সংশ্লিষ্টদের দাবী, শিক্ষার্থীদের অসচেতনতা এবং প্রশাসনের চরম অবহেলার কারনে দীর্ঘদিন থেকে এমন পরিস্থিতি চলে আসছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি আবাসিক হল, ৪টি অ্যাকাডেমিক ভবন এবং প্রশাসনিক ভবনসহ আশপাশের স্থান গুলোতে ময়লা ফেলার কোনো সু ব্যবস্থা নেই। এছাড়া প্রতিদিন শিক্ষক-শিক্ষার্থীর, কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় ৭ হাজার লোকের পদচারণ ৫০ একরের এই ক্যাম্পাসে। কিন্তু প্রশাসনের উদ্যোগে কোন ডাস্টবিন নেই ক্যাম্পাস এরিয়ায়। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোন উদ্যোগ মেলেনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রিয় ক্যাফেটেরিয়ার, সকল অনুষদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়কের দু-পাশে, শহীদমিনারের পাশে এবং আবাসিক হল গুলোর পাশে ময়লার স্তুপ হয়ে আছে। সমাজবিজ্ঞান অনুষদের মাঝখানে বাগান করার মতো জায়গা থাকলেও শিক্ষার্থীদের ফেলা আবর্জনায় স্থানটি পরিনত হয়েছে ডাস্টবিনে। আবার বিভিন্ন স্থানের আবর্জনা সরিয়ে নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় কয়েকদিন পরে সেটি পুড়িয়ে ফেলতে হয়। এর ফলে ক্যাম্পাসের বায়ু দূষণের মাত্রা বাড়ছে। বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আবর্জনা থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।
অপরদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশের জন্য দৃষ্টিনন্দন ফটক নির্মাণ করা হলেও সামনে গড়ে ওঠছে আবর্জনার স্তূপ। বছরের পর বছর এমন নোংরা পরিবেশে চলছে সকল কার্যক্রম। কিন্তু এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই কর্তৃপক্ষের।
তবে ক্যাম্পাসে এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকায় বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এটি দুঃখজনক হলেও সত্য আমরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করলেও পরিবেশ দূষণ নিয়ে সচেতন নই এমনকি ময়লা আবর্জনা ফেলার মত নির্দিষ্ট কোন স্থান নেই। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলার ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দূষণ জনিত নানা রোগ দেখা হচ্ছে।’
এদিকে আবর্জনা পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য করা বিভিন্ন ড্রেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে মশার উপদ্রব বেড়ে গিয়েছে। বিভিন্ন সময় প্রশাসন থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আশ্বাস দিলেও গত কয়েক বছরে কোনো উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপচার্য ড. এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘আমি এসেছি মাত্র দুই মাস হলো। আগের প্রশাসন অনক কাজ বাকি রেখে গেছে। আমার কাছে যেহেতু অভিযোগ এসেছে এই প্রথম আমি এটার উদ্যোগ নিবো।’