আর এম রিফাত, ইবি প্রতিনিধি: ঘড়ির কাটায় তখন সাড়ে নয়টা বাজে এ সময় ডায়না চত্বরে দেখা যাচ্ছে কিছু শিক্ষার্থী দাড়িয়ে আছে। একে অপরের ভিতর চলছে আলাপচারিতা। ধীরে ধীরে শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের দলবদ্ধ হতে দেখে দু পা বাড়িয়ে তাদের দিকে হাটতে লাগলাম। এমন দলবন্ধ হওয়া দেখে জিজ্ঞাসা করলাম। কি হবে সকলে একত্র হচ্ছেন? তারা বললো: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আবর্জনা কুঁড়িয়ে ক্যাম্পাসকে পরিচ্ছন্ন রাখার আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
এতক্ষণ যাদের কথা বলছিলাম তারা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী। পরিচ্ছন্নতা অভিযান সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় উদ্বোধন করেন ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম। উদ্বোধনের সময় শিক্ষার্থীদের মাঝে মাস্ক, গ্লভস প্রদান করা হয়। এ সময় তারা ২০টি গ্রুপে ভাগ হয়ে ডায়ানা চত্বর থেকে পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে।
শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা হল ও ক্যাম্পাস ছাড়বেন না
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা যখন ক্লাস, পরীক্ষা, খেলাধূলা ও আড্ডায় ব্যাস্ত। তখন ফলিত খাদ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতায়। বিভাগের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থীরা দিনব্যাপী ক্যাম্পাসের আবর্জনা কুড়িয়েছে। ক্যাম্পাসের ভিতর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নানা রকমের পলিথিন, অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র, কেক, বিস্কুটের প্যাকেট পরিচ্ছন্ন করে বস্তা করে গার্বেজে ফেলে দেয়।
ফলিত খাদ্য বিভাগের শিক্ষার্থী শাকুর আহমেদ বলেন, “আমরা আমাদের ঘর যেমন পরিচ্ছন্ন রাখি তৈমনি ক্যাম্পাসও ঘরের মত পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করব সবসময়।”
এ বিষয়ে ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, “পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে আমাদের এ উদ্যোগ। নিজের জায়গা নিজে পরিষ্কার করার একটি অভ্যাস তৈরী করা। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে জন্য আমরা যদি অল্প ও দেই তাহলে পরিবেশের জন্য একটু হলেও উপকৃত হবে। এটি আমরা মাঝে মাঝেই করার চেষ্টা করব”।
তিনি আরো বলেন, ‘বিভাগের একটি কোসের্র নাম বর্জ ব্যবস্থাপনা। আমার মনেহয় তাদের কোর্সে পড়ানোর পাশাপাশি প্যাক্টিক্যালি যদি কিছু শিখাতে পারি এটিই বেশি কার্যকর হবে। প্রশাসন তো বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন সময় উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে। শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বোধ জাগ্রত করার করা এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মাঝেও উৎসাহ তৈরী করা।’