শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন

বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি: প্রতিবাদ লিপিতে বশেমুরবিপ্রবি প্রক্টর

  • আপডেট টাইম মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২২, ৭.০৬ পিএম
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বশেমুরবিপ্রবি প্রক্টর

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ ক্যাম্পাস ভিত্তিক দ্য ক্যাম্পাস টুডেতে ১৮ জানুয়ারি ২০২২ ‘শিক্ষার্থী মারা গেলেও সন্ধ্যা ৭ টার পর ফোন দেওয়া যাবে না বশেমুরবিপ্রবি প্রক্টরকে’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান।

মেইলে পাঠানো এক প্রতিবাদ লিপিতে তিনি বলেছেন, “শিক্ষার্থী মারা গেলেও সন্ধ্যা ৭ টার পর ফোন দেয়া যাবেনা বশেমুরবিপ্রবি প্রক্টরকে” এই বক্তব্য আমার প্রদত্ত নয় বরং সংশ্লিষ্ট সংবাদিকের বক্তব্য যা উদ্দেশ্য প্রনোদিত বটে। আপনার অনলাইন পত্রিকায় প্রচারিত সংবাদে বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি সাগরদে যে সংবাদ প্রচার করেছেন তার সঙ্গে এতদ্বিষয়ে আমার কোন কথাই হয়নি। উল্লেখ্য যে, রাত ৯.৪৫ মিনিটে একজন সাংবাদিক শেখ রাসেল হল থেকে বিষয়টি আমাকে অবগত করলে আমি সঙ্গে সঙ্গে এ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে ঐ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে পাঠাবার ব্যবস্থা করি। গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসিকে বিষয়টি অবহিত করি। অতপর এসআই জালাল হাসপাতালে যায়।

প্রতিবাদ লিপিতে তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে আমার কাছে অনেকেই সংবাদ সংগ্রহের জন্য যোগাযোগ করে। রাত ১১.১৫ এর দিকে শফিউল কায়েস আমাকে ফোন দিয়ে ব্যপারটি সম্পর্কে জানতে চায়। কথা বলার এক পর্যায়ে তার আচরন ও কথাবার্তা ঔদ্ধত্যপূর্ন মনে হলে তাকে আমি ফোন দিতে নিষেধ করি। এক পর্যায়ে সে সংবাদে প্রচারিত শিরোনামটি উল্লেখ করে নিজেই মন্তব্য করে। বিষয়টি ভূল বুঝাবুঝি বলে আমি মনে করি। প্রক্টোরিয়াল টিম, প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও সম্মানিত শিক্ষকদের নিয়ে আমরা আক্রান্ত শিক্ষার্থীর সঙ্গে হাসপাতালে যেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সার্বিক সহযোগিতার দায়িত্ব আমারা নিয়েছি এবং প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যও সহযোগিতা করেছি।

শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারি সহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের মধ্যে সৌহাদ্য সম্প্রীতি বৃদ্ধি ও জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব ও মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। বিধায় হীনস্বার্থ ব্যক্তিস্বার্থের উর্দ্ধে হোক আমাদের অবস্থান এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করি।

দ্য ক্যাম্পাস টুডেতে প্রকাশিত সংবাদ

সাগর দে, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী মারা গেলেও প্রক্টর ড. রাজিউর রহমানকে সন্ধ্যা ৭ টার পর ফোন দেওয়া যাবে না বলে দেশ রুপান্তরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি শাফিউল কায়েসকে তিনি এ নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী অপহরনের পর মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রক্টরকে ফোন দিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘ দিন সাংবাদিকতা করে এসেছি। তুমি কি রাত ১১ টায় আমাকে কল দিতে পারো? তুমি আর কখনো সন্ধ্যার পর কখনো কল দিবে না বলে তিনি তাকে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শেখ শাকিল নামের এক শিক্ষার্থীকে টিউশনি প্রদানের আশ্বাস দিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার মল্লিকের মাঠ নামক এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়।

এঘটনাটিকে প্রক্টর ড. রাজিউর রহমানকে ফোন দিলে তিনি সামান্য ঘটনা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যায়।

পরবর্তীতে আহত শিক্ষার্থী শাকিল বলেন, তাকে মারধর সহ বিভিন্ন রকমের মানসিক প্রেসার দিয়ে বাড়ি যোগাযোগ করতে বাধ্য করা হয়। এমনকি অপহরণকারীরা তার মা বাবা কে বলেন, তোর একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে হলে ৩০,০০০ টাকা দিতে হবে। অন্যথায় তোকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেন।

পরবর্তীতে তার পারিবারিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তার খালাতো ভাই বিকাশের মাধ্যমে দুই ধাপে টাকা পাঠালে তাকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে এক অটোযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে পৌঁছালে শিক্ষার্থীদের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বুলেন্স ড্রাইভারকে কে ফোন দিলে তিনি শহরে অবস্থান করছে বলে জানান।

এম্বুলেন্স সময় মতো পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আহসান ইমন বলেন, এম্বুলেন্স সময় মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পায়না এটি নতুন কিছু নয়। ইতিপূর্বে ওই বিভাগের এক শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলেও এম্বুলেন্স সময় মতো পায়নি । শুধু এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেই নয় যেকোনো বিভাগের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হলেও এম্বুলেন্স পায়না বলে অভিযোগ আছে।

উল্লেখ্য, দেশ রুপান্তর অনলাইন, সময়টিভি অনলাইন সহ অন্যান্য অনলাইন নিউজ পোর্টালে বিভিন্ন শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে।

The Campus Today YouTube Channel

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazar_creativenews_II7
All rights reserved © 2019-20 The Campus Today