বশেমুরবিপ্রবি সংবাদদাতা : প্রতিষ্ঠার তিন বছর পর অবশেষে স্থায়ী শিক্ষক পেতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার বিভাগ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ এবং ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রোপ্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। বিভাগগুলোতে ছিলোনা শিক্ষক নিয়োগের জন্য সিলেকশন বোর্ডও।তবে সম্প্রতি বিভাগগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য সিলেকশন বোর্ড গঠন করা হয়েছে এবং এক মাসের মধ্যেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব।
শুধু শিক্ষক নিয়োগের সিলেকশন বোর্ড নয়, এর আগে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষক, ক্লাসরুম, ল্যাবসহ প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত না করেই শিক্ষার্থী ভর্তির মধ্য দিয়ে বিভাগগুলোর শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করেছিলো তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শিক্ষক না থাকায় বিভিন্ন ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে উল্লেখ করে আর্কিটেকচার বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ ধ্রুব বলেন ‘প্রায় ৩ বছরের বেশি সময় যাবত আমাদের বিভাগটিতে কোনো স্থায়ী শিক্ষক ছিলনা এবং এর ফলে আমরা নানারূপ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলাম। যেমন, শিক্ষকের অভাবে ২য় বর্ষের মেজর কোর্স ডিজাইন স্টুডিও শুরুই করা যায়নি। ফলাফলস্বরূপ আমরা ক্রমশ হতাশাগ্রস্ত হয়ে যাছিলাম এবং প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছিলাম স্থায়ী শিক্ষকের জন্য। কিন্তু আমাদের বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল সিলেকশ বোর্ড না থাকা।’
উপাচার্য কথা রেখেছেন উল্লেখ করে এই শিক্ষার্থী বলেন, ’সর্বশেষ আমরা যখন শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করি তখন মাননীয় উপাচার্য মহোদয় আমাদের আশ্বাস দেন যে আগামী ২ মাসের মধ্যেই আমাদের সিলেকশন বোর্ড গঠন করে শিক্ষক নিয়োগের ব্যাবস্থা করবেন এবং তিনি কথা রেখেছেন। আমরা একারণে উপাচার্য সহ যেসকল শিক্ষক দ্রুত সময়ের মধ্যে সিলেকশন বোর্ড গঠনে ভূমিকা রেখেছেন তাদের সকলকে হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুবিন হাসান বলেন, ‘তিন বছর যাবৎ আমাদের বিভাগটি খন্ডকালীন শিক্ষকের উপর নির্ভর করে চলেছে। ফলে আমাদের বিভিন্ন রকম সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। অবশেষে শিক্ষক নিয়োগের সিলেকশন বোর্ড গঠিত হওয়ায় আমরা এখন কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে পাচ্ছি এবং উপাচার্য শিক্ষক নিয়োগের কথা দেয়ার একমাসের মধ্যেই সিলেকশন বোর্ড গঠন করায় উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব বলেন, ‘বিভাগগুলোতে কোনো স্থায়ী শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলো তাই আমাদের চেষ্টা ছিলো যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা। এরই প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে সিলেকশন বোর্ড গঠন করা হয়েছে এবং আগামী এক মাসের মধ্যেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।’