পাবিপ্রবি প্রতিনিধি : পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(পাবিপ্রবি) ফার্মেসি বিভাগের ৫ জন শিক্ষার্থী প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের গবেষণা সহযোগিতা প্রকল্প ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (NST) ফেলোশীপ কর্মসূচী’র আওতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে জীব বিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিজ্ঞান গ্রুপে ফেলোশীপের জন্য মনোনীত হয়েছে।
গত শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়।
এই বিজ্ঞপ্তি হতে জানা যায় এবার ভৌতবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং খাদ্য ও কৃষিবিজ্ঞান এই তিন ক্যাটাগরিতে ফেলোশিপ পাচ্ছেন মোট ১৬৫৮ জন শিক্ষার্থী। তার মধ্যে এমএস শিক্ষার্থী প্রতি ৫৪ হাজার টাকা, এমফিল গবেষক ৬৮ হাজার ৪০০ টাকা এবং পিএইচডি গবেষক তিন লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবেন
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) রেজিস্টার অফিসের স্কলারশীপ শাখা সূত্রে জানা যায় , জীব বিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিজ্ঞান গ্রুপে ফেলোশীপ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা হলেন, প্রিয়াংকা সুলতানা, মো: আল শাহরিয়ার, মোহাম্মদ মোস্তফা শাহরিয়ার মিলন, রাজন কুমার সরকার এবং আবদুর রহমান।
ফেলোশীপ অর্জনকারী শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মোস্তফা শাহরিয়ার মিলন আনন্দ প্রকাশ করে বলেন,”এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত খুশির সংবাদ। আমাদের গবেষণাপূর্ণ মনোভাবকে উৎসাহিত করতে এবং আগ্রহকে জোরালো করতে এই ফেলোশীপ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।এছাড়াও নতুনদের গবেষণায় আগ্রহী করতে এটি একটি অনুসরনীয় মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।”
আরও পড়ুন ঃ উপাচার্যের সাথে বশেমুরবিপ্রবি দাবা ক্লাবের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ফেলোশীপের বিষয়ে জানতে চাইলে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক, মনিরুল ইসলাম জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ হতে পাঁচ জন শিক্ষার্থী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশীপ পাচ্ছে এটা আমাদের বিভাগের জন্য আনন্দের সংবাদ। আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উৎসাহিত করছি। সামনের দিনগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ হতে আমরা গবেষণার আরও সুযোগ-সুবিধা পেলে আমাদের বিভাগ হতে শিক্ষার্থীরা গবেষণা কর্মে আরও ভালো করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি”।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ১৯৭৭-১৯৭৮ অর্থবছর থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়/গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত/গবেষণারত এমএস, এমফিল, পিএইচডি এবং পোস্ট-ডক্টরাল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এই অনুদান প্রদান করে আসছে ।