প্রেমের উপাখ্যান

মুহম্মদ সজীব প্রধান


আমি শরৎচন্দ্র নই যে কালজয়ী উপন্যাস রচনা করে তোমার প্রতি আমার ভালবাসা প্রকাশ করব আমি রবীন্দ্রনাথও নই যে তোমার প্রতি জমানো আমার অসীম ভালবাসা ছোটগল্পে ফুটিয়ে তুলব। মাঝে মাঝে বড্ড রাগ হয় কেন যে কবি সাহিত্যিকদের মতো কলম আর খাতার আলিঙ্গনে ভালবাসাকে সাঁজাতে পারি না।

রং-তুলি হাতে নিয়ে ক্যানভাসে কতই না চেষ্টা করেছি আমার এক সিন্ধু ভালবাসাকে বিন্দু বিন্দু করে অঙ্কন করে ভালবাসা দিবসে তোমাকে দেখাব বলে কিন্তু তাও ব্যর্থ তবে এ ব্যর্থতা আমি কখনো মেনে নিতে পারি নি।

একবার হসপিটালে গিয়ে ECG মেশিন কে প্রশ্ন করলাম- “আচ্ছা,তুমি কি আমার হৃদয়ে যে ভালবাসা আছে তার ছবি একে দিতে পারবে?” মেশিনটা নির্লজ্জের মতো বলল – না, স্যার। তখন রাগে মেশিনটাকে একটা থাপ্পড় দিয়েছি কিন্তু ব্যথাটা আমিই পেয়েছি। ঐ মুহূর্তে ইচ্ছা হয়েছিল হৃৎপিণ্ডটা টেনে বের করে নিয়ে আসি। হ্যাঁ, তাই করেছিলাম তবে সেটা দুচোখ বন্ধ করে কল্পনাতে হৃদয়ের ক্যানভাসে ভালবাসার রঙ-তুলিতে একটি হৃৎপিণ্ড অঙ্কন করেছিলাম যার বাঁ পাশে ছিল তোমার নাম আর ডানপাশে আমার নাম।

এছাড়াও শরতের শুভ্র কাশফুলে বেষ্টিত গ্রামের আঁকাবাঁকা নদীর তীরে তোমার হাত ধরে হাটার মুহূর্তে তোমাকে নিয়ে মহা-কাব্য লিখার দুঃসাহসও করেছিলাম কিন্তু যখন বসন্তের রঙিন ফুলে খোপা সাজিয়ে আমার সামনে এসেছিলে তখন তোমাকে দেখে এতোটাই উন্মাদ হয়েছিলাম যে মহাকাব্য আর লিখা হলোনা তবে শ্রাবণের কালো মেঘের সাথে তোমার দীঘল কৃষ্ণ কেশের তুলনা করে বেশ কয়েকটা কবিতা লিখেছিলাম।

সত্যিকার অর্থে তোমার প্রতি আমার প্রেম আটলান্টিক মহাসাগরের চেয়েও বিস্তৃত এবং প্রশান্ত মহাসাগরের চেয়েও গভীর। হৃদয়ের পড়তে পরতে নিখাঁদ ভালবাসা ছড়িয়ে রয়েছে তোমার জন্য। তুমি আমার কাছে এক অজানা ভালো লাগার উষ্ণতা এবং ভালবাসা ও ভাল লাগার একমাত্র ঠিকানা তাইতো আবেগে আপ্লুত হয়ে হিমালয়ের সুউচ্চ শিখরে আরোহণ করে চিৎকার করে বলতে চাই- ভালবাসি, তোকে ভীষণ ভালবাসি।


শিক্ষার্থীঃ আইন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
কলামিস্ট, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

Leave a Comment