সারাদেশ টুডেঃ হাসপাতালের একই বেডে ২ জন ব্যক্তি শুয়ে আছেন। আপনারা কি ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন? এমন প্রশ্নের প্রথমে কোনো উত্তর মেলেনি। একই প্রশ্ন একাধিকবার করার পর উত্তর দেন। একপর্যায়ে চালক তাসের উদ্দিন ও সহকারী অপু দে বলেন, “প্লিজ আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, আমাদের একা থাকতে দিন।”
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটি মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাত ২টা ৪৮ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের দিকে রওনা হয়। মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার ট্রেনটিকে তার স্টেশনে প্রবেশের আগেই আউটারে থাকার সিগন্যাল দেয়। কিন্তু তূর্ণা নামক ট্রেনটির চালক (লোকো মাস্টার) সিগন্যাল না মেনে প্রায় ৬০-৭০ কিলোমিটার বেগে উদয়ন নামক ট্রেনে আঘাত করে।
ট্রেন দুর্ঘটনার পর আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিলেন আন্তঃনগর মহানগর তূর্ণা নিশীথার চালক (লোকোমাস্টার) তাসের উদ্দিন (৫৫) ও সহকারী চালক অপু দে (৩৫)। এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনায় এই দুজনকে দায়ী করে বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ।
তাদের নাম ও ঠিকানা জানতে চাইলে অপু দে জানান, তিনি ভোলা জেলার বাপদা গ্রামের কৃপা চার্য্য দের ছেলে। সে সময় চালক তাসের উদ্দিন তার বাড়ি মানিকগঞ্জ।
দ্য ক্যাম্পাস টুডে।