ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ছাত্র প্রসেনজিত মাহাতোর পড়াশোনা বন্ধের পথে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রসেনজিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের ভাটারপাড়া গ্রামের পলাশ চন্দ্র মাহাতো ও কাজলী রানী মাহাতোর বড় ছেলে। তাঁর বাবা পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বাবার অসুস্থতায় পরিবারটিতে নেমে এসেছে আর্থিক অসচ্ছলতা। তাই পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে তাঁর।
জানা যায়, মাধাইনগর দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০১৫ সালে এসএসসি এবং তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০১৭ সালে এইচএসসি পাস করেন তিনি। বর্তমানে তিনি গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
পাঁচজনের পরিবারে প্রসেনজিতের বাবা একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। কিছুদিন আগে তাঁর স্ট্রোক হয়। তাঁর শরীরের ডান পাশের অংশ অবশ হয়ে পড়ায় তিনি কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন। মা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। তাঁদের ওষুধপথ্যের জোগান ও দৈনন্দিন খরচ মেটাতে হিমশিম অবস্থা। পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়াটা এখন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে প্রসেনজিতের জন্য।
মাহাতোদের কুড়মী ভাষার গবেষক ও লেখক উজ্জ্বল মাহাতো প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, প্রসেনজিতের পাশে দাঁড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে। সমাজের বিত্তবানেরা তাঁর পাশে দাঁড়ালে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াটা সম্ভব হবে তাঁর জন্য।