ফুচকা-চটপটি বিক্রেতাদের পাশে দাঁড়াতে চায় বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

| ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক | Avatar

ক্যাটাগরি : ,
ফুচকা-চটপটি বিক্রেতাদের পাশে দাঁড়াতে চায় বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে সমস্যায় পড়েছেন ক্যাম্পাসের ভিতরে ভ্রাম্যমান খাদ্য বিক্রেতারা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান উদ্দেশ্য শিক্ষা প্রদান করা হলেও এই প্রতিষ্ঠানগুলো অনেকের বেঁচে থাকার অবলম্বনও। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেসকল ভ্রাম্যমাণ খাদ্য বিক্রেতারা থাকেন তাদের জীবনযাপন পুরোপুরিই নির্ভর করে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ওপর। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম চালু থাকলে তারা অর্থ উপার্জন করতে পারেন আর প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকলে তাদের আয়ও বন্ধ থাকে।

এছাড়া শিক্ষার্থী চাহিদার ওপর নির্ভর করে ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে বেশ কিছু চায়ের দোকানও। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রায় একমাস যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এসকল খাদ্য বিক্রেতাদের আয়ও বন্ধ। ফলে অর্থের অভাবে অনেকই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আর এসকল দিক বিবেচনা করেই তাদের পাশে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বশেমুরবিপ্রবির একদল শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উদ্যোগ গ্রহণকারীদের মধ্যে একজন মাস্টার্সের শিক্ষার্থী অভি বলেন, ‘ প্রথমে এক মামা ফোন করে আমাদের কাছে সহায়তা চাইলে আমরা প্রায় ২০০০ টাকা তুলি,তখন অল্প কিছু বন্ধু বান্ধবীদের থেকে তার ফোনে বিকাশ/রকেট এর মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দিই। তারপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন আমরা সকলের চিন্তা করি এবং মানবিক দিক থেকে তাদের সকলের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’

আরেক শিক্ষার্থী নাবিলা বলেন,আমি গোপালগঞ্জ থেকে তাদের কষ্ট আমি সরাসরি অনুভব করছি যখনি সবাই এই উদ্যোগ নিলেন আমি ও তাদের সাথে থেকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিই। শিক্ষার্থীরা তাদের সহায়তা করার ব্যাপারে ইতিবাচক কিনা জানতে চাইলে বলেন আমি শুধু ঘোষণা দিয়েছি, আর তাতে আশানুরূপ এর চেয়ে ও বেশি সাড়া পেয়েছি কারও কাছে চাওয়া লাগেনি তারা নিজেরাই টাকা পাঠিয়েছেন তাদের সহায়তা করার জন্য। তাদের এই সংগ্রহীত টাকা তাদের কাছে কিভাবে পৌঁছানো হবে জানতে চাইলে বলেন, একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা উঠলে সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে এটি তাদের মোবাইল ফোনে রকেট /বিকাশের মাধ্যম দেওয়া হবে না তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, ৫, ১০, ৫০, ১০০, ২০০ এবং ৫০০ টাকা যে যেমন পারেন নিম্নোক্ত নাম্বারে পাঠিয়ে দিন । আপনার এই টাকার মাধ্যমে হাসি ফুটুক চা, চটপটি, ফুচকা মামাদের মুখে।



বিক্যাশ নাম্বার

অভি(IR)-01964960310; শিহাব(ETE)01725591826; রাফি(LAW)01954375501; মাহাবুব(MGT)01947713662; মিরাজ (PAD)01777664316


রকেট একাউন্ট

সোহানা (AIS)01521-410843(6); বজলু(BAN)880 1786-211122(3)



 

সংবাদটি শেয়ার করুন

নতুন পেজে যুক্ত হতে The Campus Today New Page ক্লিক করুন

আমাদের আগের পেজটি হ্যাকড হয়েছে, নতুন পেজে যুক্ত হতে The Campus Today New Page ক্লিক করুন

আমাদের আগের পেজটি হ্যাকড হয়েছে, নতুন পেজে যুক্ত হতে The Campus Today New Page ক্লিক করুন

This will close in 5 seconds