শরিফ হোসেন, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পন, কেক কাটা, আলোচনা সভা ও বৃক্ষরোপন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার আদিত্যসহ শিক্ষকমণ্ডলী, শিক্ষার্থীবৃন্দ ও কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরপর শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস প্রাঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোস্তফা জব্বার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব হাবিবা রহমান খান শেফালি এমপি (সংরক্ষিত নারী আসন)।
স্বাগত বক্তব্যে ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার আদিত্য বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করা এবং এই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সংযুক্ত থেকে দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার আশা ব্যক্ত করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বঙ্গবন্ধু কন্যার নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে তারুণ্যের শক্তিকে জাগ্রত হতে বলেন। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে সামনে অগ্রসর হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুই একমাত্র জাতির পিতা যিনি একটি ভাষাভিত্তিক রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছেন; ৭৪ এ জাতিসংঘে বাংলা ভাষায় ভাষণ প্রদান করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু তার ভাষার যোগ্যতার প্রমাণ রাখেন।
তিনি আরো বলেন,আমার মায়ের সক্ষমতা যদি বেশি হয়, আমি অন্যের গোলামী করবো কেন? অন্যের গোলামী যেন না করতে হয় সে জন্য বঙ্গবন্ধু একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন যার নাম বাংলাদেশ। এছাড়াও তথ্য প্রযুক্তির খাতে বাংলাদেশের ঈর্ষণীয় উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন এবং ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সকল প্রান্তে ইন্টারনেট পৌছে দেওয়ার আশা ব্যক্ত করেন৷ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর স্মারক হিসেবে বাংলাদেশ সরকার নিয়ন্ত্রিত অপারেটর টেলিটক সিম মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট সেবা চালু করার ঘোষণা প্রদান করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য ড. রফিকউল্লাহ খান বলেন, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীকে তিনি তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞানে সমৃদ্ধ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে তাদের ব্যক্তি জীবনে ধারণ করবেন বলে তিনি মনে করেন। এছাড়াও তিনি বলেন, বাংলা ধ্বনিটি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, একটি দেশ বাংলাদেশ, একটি ভাষা বাংলা এবং একটি স্লোগান “জয় বাংলা”; এ বাংলা ভাষায় তিনি আমাদের শেকড়কে স্পর্শ করতে বলেন। এছাড়াও নেত্রকোনার লোকসাহিত্যকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।
এছাড়াও সংরক্ষিত নারী আসন -১৭ এর সংসদ সদস্য জনাব হাবিবা রহমান খান শেফালি বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন স্থায়ী ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে আমন্ত্রিত অতিথিগণ অংশগ্রহণ করে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের সূচনা করেন।