প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনের সমাপনী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস-২০২১ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পুরস্কার বিতরনী, জাতির পিতার সমাধিসৌধে, শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ও বিশ্বদ্যিালয়ের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন, দিনব্যাপী প্রীতি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
বিকাল ৪টায় স্যার আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের মুক্ত মঞ্চে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু।
‘উন্নত-সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রকৌশলী সমাজকে সহায়কশক্তি হিসেবে অবদান রাখতে হবে’: চুয়েট ভিসি
বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশ: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি
আলোচনা সভার প্রধান আলোচক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। এছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন।
আলোচনা সভার সভাপতি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শন এবং চেতনা যদি আমরা বুকে ধারন করি তাহলে আমরা পথ হারাবো না। তিনি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও গবেষণার জন্য সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আহবান জানান।
এছাড়া স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে ৪.৩০ টায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি দেশব্যাপী শপথ বাক্য পাঠ করান। উক্ত অনুষ্ঠানে অত্র বিশ্বদ্যিালয় পরিবার অংশগ্রহণ করে। সন্ধ্যা ৭টায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২.১৫ টায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুবের নেতৃত্বে টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতার মাজারে, সকাল ৯.০০ টায় শেখ কামাল স্টেডিয়াম সংলগ্ন শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে এবং সকাল ৯.৩০ টায় ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এসময় শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন বিশ্বদ্যিালের শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কর্মচারী সমিতিসহ সকল বিভাগ, হলসমূহ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
এছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকি, একাডেমিক ভবন ও হলসমূহে আলোকসজ্জা করা হয়। এদের মধ্যে শেখ রাসেল হল ফানুস উত্তোলন ও আতশবাজি ফোটায়, রোভার স্কাউট প্রতিটি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে এবং সাংবাদিক সমিতি প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।