বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আফিফা আক্তার। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে হঠাৎই অজ্ঞান হয়ে যান এই শিক্ষার্থী। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে। তবে সেখানে পৌঁছানোর পরও চিকিৎসকের জন্য এই শিক্ষার্থীকে অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রায় এক ঘন্টা। ঘটনাটি ঘটেছে আজ (বুধবার) দুপুর ১২ টায়।
শুধু্মাত্র এই শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রেই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায়শই ঘটছে এমন ঘটনা। চুক্তি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত অফিস সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও বেশিরভাগ সময়েই অনুপস্থিত থাকছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির মেডিকেল অফিসার ডা. অভিষেক বিশ্বাস।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১২,০০০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র একজন চিকিৎসক রয়েছে কিন্তু চিকিৎসাসেবা নিতে মেডিকেল সেন্টারে গেল বেশিরভাগ সময়েই পাওয়া যায়না তাকেও। বাধ্য হয়ে নার্স এবং ব্রাদারদের কাছ থেকে সেবা নিতে হয় অথবা ছুটতে হয় সদর হাসপাতালে।
এছাড়া সরেজমিনেও প্রায় দুই সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির মেডিকেল সেন্টারে মাত্র দুইদিন চিকিৎসক অভিষেক বিশ্বাসকে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী জানান, নিয়মিতভাবেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন অভিষেক বিশ্বাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ আদেশ অনুযায়ী জরুরি প্রয়োজনে অফিস টাইমের বাইরেও সেবা প্রদানের কথা থাকলেও তিনি অফিস টাইমেও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে উপস্থিত হন না।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ডা. অভিষেক বিশ্বাস বলেন, আমি রোড এক্সিডেন্ট করছিলাম বলে তাত্ক্ষণিকভাবে আসতে পারিনি। তবে মোবাইলের মাধ্যমে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেছি।
এছাড়া তিনি আরও দাবি করেন তিনি যখন অফিস করেন তখন শিক্ষার্থীরা আসে না। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোন কর্মকর্তার নিয়ে এতো মাথা ব্যাথা না থাকলেও তার বিষয় নিয়ে কিছু লোকের মাথা ব্যাথা রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বা শিক্ষার্থীরা যদি মনে করে এখানে আমি পর্যাপ্ত সেবা দিচ্ছি না তাহলে কর্তৃপক্ষ মেডিকেল সেন্টার অন্য কাউকে দিয়ে পরিচালনা করুক।”